১৪ জুলাই
ধর্মনগর প্রতিনিধি:-বাম আমল থেকেই দীর্ঘ বহু বছর যাবত ধর্মনগর রাজবাড়ী দুর্গাপুর এলাকায় অবৈধ জ্বালানি তেলের রমরমা ব্যবসা চলে আসছে। স্থানীয় কয়েকজন এই অবৈধ ব্যবসার সাথে জড়িত
থেকে প্রবল বিত্তশালী হয়ে উঠেছেন। ২০১৮ সালে বামেদের পতনের পর রাজ্যে বিজেপি আইপি একটি জোট সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। রাজ্যের নতুন সরকারের শাসনকাল শুরু হতেই রেল ট্যাংকার এর
মাধ্যমে রাজ্যে আশা জ্বালানি ইন্ডিয়ান অয়েল যাওয়ার পাইপলাইনের শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন অত্র এলাকায় আর জ্বালানি
তেলের অবৈধ ব্যবসা করা যাবে না। এক প্রকার তেল মাফিয়াদের হুমকির সুরে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন দীর্ঘদিন থেকে চলে আসা ধর্মনগরের প্রবেশ পথের এই জ্বালানি তেলের অবৈধ ব্যবসা এবার চিরতরে বন্ধ করতে হবে।তারপর কিছু দিন অবৈধ ব্যবসা বন্ধ
থাকলেও পুনরায় ধর্মনগর রাজবাড়ী দুর্গাপুর এলাকার জ্বালানি তেলের ব্যবসা যেন আরো বৃহৎ আকার ধারণ করেছে। আগে একটা সময় প্রায়শই দুর্গাপুর এলাকায় পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে অবৈধ তেলের ঠেকে ছাপা মারা হতো।কিন্তু হঠাৎ করে দীর্ঘ বহুদিন যাবত
পুলিশ প্রশাসন যেন ওই এলাকার অবৈধ তেলের ঠেকে অভিযান বন্ধ করে কারবারিদের আরো সুযোগ করে দেয়। এতে বিভিন্ন দিক থেকে পুলিশ প্রশাসনের উপর উঠতে থাকে নানা প্রশ্ন। এরিমধ্যে লক্ষ্য করা গেল ধর্মনগরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক আইপিএস কান্তা জাঙ্গীর এর নেতৃত্বে সোমবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ ধর্মনগর
দুর্গাপুর এলাকার বাদল রহমানের বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালায়। তার বাড়ি থেকে পুলিশি তল্লাশিতে ৭ টি ব্যারল থেকে ১৪০০ লিটার কেরোসিন তেল উদ্ধার করা হয়। সাথে উদ্ধার হয় বেশকিছু খালি পেট্রোল ও ডিজেলের ব্যারেল। সোমবারের পর মঙ্গলবার রাতে আবারো ধর্মনগর রাজবাড়ী দুর্গাপুর এলাকায় উত্তর জেলা পুলিশ
সুপারের নেতৃত্বে ধর্মনগর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী অবৈধ জ্বালানি তেল উদ্ধারে ইন্ডিয়ান অয়েল ডিপোর ঠিক পেছনে দুলু মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালান। পুলিশি অভিযানে দুলু মিয়ার বাড়ি থেকে
পেট্রোল, ডিজেল ,কেরোসিন মিলিয়ে প্রায় ২ হাজার লিটার জ্বালানি উদ্ধার করে। এ বিষয়ে জানাতে গিয়ে পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তী বলেন স্থানীয়দের অভিযোগ মূলে পুলিশি অভিযানে সোমবার ও
মঙ্গলবার পর পর দুই দিনের হানায় বহু অবৈধ মজুদ করা জ্বালানি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ নির্দিষ্ট দুটি মামলা নিয়ে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে এবং দুলু মিয়া নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে ।সাথে দুলু মিয়ার বাড়ি থেকে জ্বালানি তেল কারবারে ব্যবহৃত একটি মারুতি ভ্যান গাড়ি আটক করা হয়েছে। এবং দুর্গাপুর এলাকায় গড়ে
ওঠা অবৈধ জ্বালানি তেলের ব্যবসা বন্ধ করতে পুলিশ এমন অভিযান আগামীতেও জারি রাখবেন। এখন এটাই দেখার আদতেই পুলিশ এলাকায় গড়ে উঠা অবৈধ তেলের কারবার বন্ধ করতে কদিন এমন অভিযান জারি রাখেন ।তবে পুলিশি অভিযানের উপর ভিত্তি করে এলাকাবাসীদের অভিযোগ এলাকার তেলের ঠেকে হানা দিয়ে কিছু
তেল উদ্ধার করা স্বাভাবিক। এমন লোক দেখানো অভিযান আগেও বহুবার হয়েছে। কিন্তু অবৈধ জ্বালানি তেল এর কারবার বন্ধ করতে পারেনি পুলিশ। আগেও পুলিশ ছোটখাটো দু-একজন তেল কারবারিকে আটক করলেও রাঘব বোয়ালদের আটক করার ক্ষেত্রে পুলিশের ভূমিকা একেবারেই দুর্বল।
0 মন্তব্যসমূহ