সবুজ ত্রিপুরা
২১ জুন
সোমবার
ধর্মনগর প্রতিনিধি:- ধর্মনগরের কলেজপড়ুয়া এবং কলেজ পাস আউট ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে তৈরি "ইগনাইটেড মাইন্ডস" নামক একটি সামাজিক সংস্থা উদ্যমতার সাথে বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে সামাজিক সেবামূলক কাজ করে চলেছে। এই সামাজিক সংস্থাটি মূলত গ্রামীন অঞ্চলের মহিলাদের ঋতুস্রাব বিষয়ক সচেতনতাকে সামনে রেখে সম্পূর্ণ নিজেদের উদ্যোগে 'পিরিয়ডস আর নট ডার্টি" নামক একটি প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে।
এই বার্তাকে সামনের রেখে এই সামাজিক সংস্থার সদস্য সদস্যারা ধর্মনগর শহরের আশপাশের বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে গিয়ে শিবিরের মাধ্যমে স্থানীয় মহিলাদের ঋতুস্রাব বিষয়ক বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এখনো সমাজে মহিলাদের ঋতুস্রাব নিয়ে বিভিন্ন কুসংস্কার রয়েছে সেই বিষয়েও সচেতন করেন তারা। এছাড়াও লক্ষ্য করা গেছে বর্তমানে কোভিডের ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে বিভিন্ন গ্রামীণ এলাকার খেটে খাওয়া মানুষের যখন আর্থিক সংকট দেখা দিয়েছে তখন এই ইগনাইটেড মাইন্ডস সামাজিক সংস্থার সদস্যরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাল ডাল তেল থেকে শুরু করে বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী তাদের হাতে তুলে দিয়েছে।
পাশাপাশি ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যুবক-যুবতীদের ভ্যাক্সিনেশন প্রদানের প্রাক মুহূর্তে এই সংস্থার সদস্য সদস্যরা নিজেদের ভ্যাকসিন নেওয়ার পূর্বে স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের মাধ্যমে রক্তদান করেছেন। করোনার সংক্রমণ থেকে বর্তমানের শিশুরাও রেহাই পাচ্ছে না পাশাপাশি বিশেষজ্ঞদের মতে আগামীতে শিশুরাই করোনায় আক্রান্ত হবে বেশি। এই কথাকে মাথায় রেখে ইগনাইটেড মাইন্ডস সামাজিক সংস্থা শিবিরের মাধ্যমে উত্তর জেলার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলের শিশুদের হাতে স্বাস্থ্যকর খাদ্য তুলে দিয়েছে।
কিন্তু সবচাইতে লক্ষনীয় বিষয় বর্তমানে ধর্মনগর পুরো পরিষদ এলাকার একাধিক শিবিরে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের কোভিড ভ্যাকসিন প্রদান করা হচ্ছে ঐ ভ্যাকসিন শিবিরগুলোতে রয়েছে প্রচুর ভিড়। ভ্যাকসিন গ্রহণের উদ্দেশ্যে মানুষ ভোরবেলা থেকে শিবিরগুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন। ঐ সকল শিবিরে প্রখর রোদের মধ্যে ভ্যাকসিন গ্রহণে আসা জনগণের জন্য গ্লুকোজ ও জলের ব্যবস্থা করে বিতরণ করে চলেছে ইগনাইটেড মাইন্ডস সংস্থাটি। যা বিভিন্ন মহলের উচ্চ প্রশংসিত হয়েছেন।
এই সংস্থার সভাপতি দ্বীপ আচার্য ও সম্পাদক শান্তনু রায় জানিয়েছেন তারা বর্তমানে ধর্মনগর কলেজে পাঠরত এবং এই সংস্থার অধিকাংশই কলেজ পড়ুয়াদের সাথে কলেজ উত্তীর্ণরাও রয়েছে।বিভিন্ন জায়গায় তাদের সেবামূলক শিবিরে মানুষের ব্যাপক সাড়া মেলে। তাদের কাজের উদ্যমতা দেখে প্রতিদিন উৎসাহিত যুবক-যুবতীরা সংস্থার সভ্যপদ গ্রহণ করছে। বর্তমানে তাদের শতাধিক মেম্বার রয়েছে। তাদের মূল উদ্দেশ্য পড়াশোনার সাথে সাথে মানুষের সাহায্য করা। আগামীতে আরো বহু সামাজিক সেবামূলক কর্মসূচি তাদের চিন্তা ধারায় রয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ