১৫ জুলাই
ধর্মনগর প্রতিনিধি ঃ ধর্মনগর খাদ্য গোদাম থেকে চাল চুরির ঘটনাকে খুব শক্ত হাতে নিয়েছে পুলিশ প্রশাসন।ইতিমধ্যে ঘটনার জড়িত ৬ জন পুলিশি রিমান্ডে রয়েছে।
চলছে জিজ্ঞাসাবাদ । এরি মধ্যে বুধবার সরজমিনে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এবং খাদ্য গুদামের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে ধর্মনগর এলেন নর্দান ডিআইজি এল.ডার্লং।
প্রসঙ্গত গত ১০ ই জুলাই গভীর রাতে ধর্মনগর খাদ্য গুদামে মজুদ থাকা ১৪৫ বস্তা চাল চুরি করে নিয়ে যায় চোরের দল । পরদিন সকালে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়ে খাদ্য গুদামের ম্যানেজার রঞ্জিত সিংহ
চুরি কাণ্ডের বিষয়টি নিয়ে ধর্মনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন । মামলার ভিত্তিতে শুরু হয় পুলিশি তদন্ত। ১১ জুলাই জেলা পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে বটরসি জোর কালভার্ট
এলাকার মৃত্যুঞ্জয় পালের গুদাম থেকে খাদ্য গুদামের চুরি হওয়া চালগুলো উদ্ধার করা হয় । সাথে এই চুরি কান্ডের সাথে জড়িত মৃত্যুঞ্জয় পাল সহ মোট ছয় জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । তাদের
জিজ্ঞাসাবাদে চাল চুরিকান্ডে ব্যবহৃত একটি গাড়িও উদ্ধার করে পুলিশ । পরবর্তীতে ধর্মনগর জেলা ও দায়রা আদালতে তাদের সোপর্দ করলে পুলিশি রিমান্ডের আবেদন চাইলে আদালত তাদের চার
দিনের পুলিশ রিমান্ডের আদেশ দেন ।এদিকে বুধবার এই চুরিকান্ডের বিস্তারিত জানতে ধর্মনগর খাদ্যগুদাম পরিদর্শনে এলেন রাজ্যের নর্দান ডিআইজি এল .ডারলং। তিনি এসে উত্তরের পুলিশ সুপারের
কাছ থেকে চুরিকান্ডে বিষয়ে পুলিশি তদন্তের রিপোর্ট তলব করেন। পরবর্তীতে খাদ্য গুদামে ছুটে যান ।সেখানে গিয়ে এফসিআই-র ডিপো ম্যানেজার রঞ্জিত সিংহর সাথে দীর্ঘ সময় কথা
বলেন এবং যে গুদাম থেকে চাল চুরি হয়েছিল ঐ গুদামটি সরজমিনে পরিদর্শন করেন।গুদাম পরিদর্শনকালে উনার সাথে ছিলেন জেলার পুলিশ সুপার ও মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সহ একাধিক
পুলিশ কর্তা ব্যক্তিরা । সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নর্দান ডিআইজি শ্রী ডারলং জানান চুরিকান্ডের বিষয়টি খতিয়ে দেখতেই উনার এই পরিদর্শন । এছাড়াও খাদ্য দপ্তরের রাত্রিকালীন
পাহাড়ার বিষয়টি নিয়েও তিনি খতিয়ে দেখেন । তবে বিশেষ সুত্রে জানা যাচ্ছিল পুলিশি রিমান্ডে বেশ কিছু রাঘব বোয়ালদের নাম উঠে আসছিল।তবে কি এই রাঘব বোয়ালদের জালে তুলার বিষয়ে জেলা
পুলিশ প্রশাসনের কর্তা ব্যাক্তিদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে পরিকল্পনা তৈরিতেই ধর্মনগরে নর্দার্ন ডিআইজি-র আগমন? এখন দেখার বিষয় জেলা পুলিশ প্রশাসনের জালে আর কতজন ধরা পরে।
0 মন্তব্যসমূহ