ড্রাগন ফল চাষের মাধ্যমে বেকার যুবক হয়ে উঠতে পারে স্বাবলম্বী, বললেন অবসরপ্রাপ্ত রেঞ্জ অফিসার - Sabuj Tripura News

Unemployed youth can become self-sufficient through dragon fruit cultivation, says retired range officer.

সবুজ ত্রিপুরা 
৩ জুলাই
শনিবার

তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধি:- এরাজ্যের অর্থকরী ফলের মধ্যে ড্রাগন ফল একটি অন্যতম। ড্রাগন ফল চাষের মাধ্যমে যে কোনো বেকার যুবক স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে পারে। 

এই ফলের চাষাবাদে কিছু ব্যায় সাপেক্ষ হলেও আত্মনির্ভর হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ড্রাগন ফলের। এই ফলের চাষাবাদে জলের তেমন প্রয়োজন হয় না। 

আর টীলাভূমিতে ড্রাগন ফলের চাষ খুবই ভালো হয়। কথা হচ্ছিল তেলিয়ামুড়া তুসিনদ্রাই বাড়ি এলাকার অবসরপ্রাপ্ত রেঞ্জ অফিসার উদয় রাই কলই এর সাথে ড্রাগন ফলের চাষাবাদ নিয়ে। 

তিনি চাকুরী জীবন থেকে অবসরে এসে ত্রিশা বাড়ি এলাকায় ড্রাগন ফল চাষ করার পরিকল্পনা নেন। তিনি গত ২০১৯ সালের জুলাই মাসে নিজ বাড়িতে ড্রাগন ফলের একটি চারা গাছ রোপণ করেন পরীক্ষা মূলক ভাবে। 

পরে গত ২০২০ সালের আগস্ট মাসে ত্রিশাবাড়ি এলাকায় তেলিয়ামুড়া খোয়াই সড়কের পাশে ৫ গন্ডা জায়গায় ২০০টি ড্রাগন ফলের চারা গাছ রোপন করে চাষাবাদ শুরু করেন উদয় রাই কলই। 

এই ফল গাছটি ১৮ মাসের মধ্যে ড্রাগন ফল আসার নিয়ম থাকলেও উদয় রাই কলই এর লাগানো গাছগুলিতে ১১ মাসের মধ্যেই ডাগন ফল আসে। এতে তিনি বেশ আপ্লুত। 

তিনি জানান এই ফল গাছে বছরে তিন মাসের মধ্যে পাঁচ বার ড্রাগন ফল দেয়। তিনি বলেন ড্রাগন ফল চাষের মাধ্যমে বেকার যুবক হয়ে উঠতে পারে স্বাবলম্বী।

বাজারে এই ড্রাগন ফলের বেশ চাহিদা ও রয়েছে। বাজারে ড্রাগন ফল প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়। এই ফল বেশ প্রোটিন সমৃদ্ধ ফল হিসাবে বিবেচ্য। 

অপরদিকে রাজ্য প্রশাসনযদি উদ্যোগী হয়ে প্রত্যন্ত এলাকার জুমিয়াদের মধ্যে এই ড্রাগন ফল চাষের প্রসার ঘটানোর জন্য উদ্যোগ নেয়, তবে জুমিয়ারা স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে পারে। 

কারন এই ফলের চাষ টিলাভূমিতে ভালো হয় বলে জানান ড্রাগন ফল চাষী উদয় রাই কলই।

আরো পড়ুন 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu