সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলিকে আরও আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে - বিপ্লব কুমার দেব

Important decisions have been taken for infrastructure development at the progress review meeting of the General Assembly.

সবুজ ত্রিপুরা 
২৬ জুন 
শনিবার

বিশেষ প্রতিনিধি:- কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের প্রকল্প রূপায়ণে সরকার বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজ করছে। এই প্রকল্পগুলির

সুযোগ সুবিধাগুলি রাজ্যের জনগণের মধ্যে সঠিকভাবে পৌছানোর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলিকে আরও আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। 

সময়ের মধ্যে প্রকল্পগুলি রূপায়ণে প্রতিটি দপ্তরকেই নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে গৃহিত কর্মসূচি রূপায়ণ করতে হবে। শুক্রবার

সচিবালয়ের ২নং কনফারেন্স হলে আয়োজিত অগ্রগতির সভায় মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব একথা বলেন। 

অগ্রগতির সভায় জল সম্পদ দপ্তর, বন, প্রাণী সম্পদ বিকাশ, গ্রামোন্নয়ন দপ্তর, পঞ্চায়েত, নগরোন্নয়ন দপ্তর, তথ্য ও প্রযুক্তি প্রভৃতি 

দপ্তরের বিভিন্ন প্রকল্পগুলির অগ্রগতি বিষয়ে পর্যালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। 

সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পগুলি যথাযথ ভাবে রূপায়ণ হচ্ছে কিনা তা নিয়মিত পর্যালোচনা 

করা প্রয়োজন। তবেই জনগণ প্রকল্পগুলির সুফল সময়ের মধ্যে লাভ করতে পারবেন। 

মুখ্যমন্ত্রী অটল জলধারা মিশনের মাধ্যমে আগামী ২০২২ সালের মধ্যে রাজ্যের প্রতিটি পরিবারে পানীয় জলের সংযোগ প্রদান করার 

যে লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে তা বাস্তবায়ণে পানীয় জল ও স্বাস্থ্যবিধি দপ্তরকে মিশন মুডে কাজ করার নির্দেশ দেন। 

এজন্য দপ্তরকে প্রতি মাসের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে কাজ করারও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সভায় প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের সচিব

দীপা ডি নায়ার জানান, রাজ্যে দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি এবং আয়ের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী উন্নত গো-ধন প্রকল্পে আগামী তিন বছরে ১ 

লক্ষ ৫৬ হাজার গবাদী পশুকে সেক্স সটেট সিমেন পদ্ধতির মাধ্যমে কৃত্রিম প্রজননের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। 

রাজ্যে স্ত্রী বাছুরের সংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই এই পদ্ধতি ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেয় দপ্তর। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে প্রাথমিকভাবে পশ্চিম 

ত্রিপুরা, সিপাহীজলা জেলা, খোয়াই, গোমতী এবং ধলাই জেলায় এই প্রকল্প রূপায়ণের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। 

পরবর্তীতে বাকী তিনটি জেলায়ও এই প্রকল্প রূপায়ণের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে দুধের যে চাহিদা 

রয়েছে তা পূরণে স্ত্রী বাছুরের সংখ্যা বৃদ্ধি আবশ্যক। এই দিকটি লক্ষ্য রেখেই রাজ্য সরকার মুখ্যমন্ত্রী উন্নত গো-ধন প্রকল্পটি চালু করে।

আরো পড়ুন 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu