সবুজ ত্রিপুরা
৭ জুলাই
বুধবার
৭ জুলাই
বুধবার
তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধি:-বনে খাদ্যাভাবের কারণে বন্য দাঁতাল হাতির দল লোকালয়ে চলে আসছে।আর এই দাঁতালের দল প্রায় প্রতিনিয়ত বাড়ি-ঘর; গাছ-গাছালি ধ্বংসের খেলায় মেতেছে।বন্য দাঁতালের
তাণ্ডবে দিশেহারা তেলিয়ামুড়া বনদপ্তরের অধীনে মধ্য-কৃষ্ণপুর, উওর-কৃষ্ণপুর; দক্ষিণ-কৃষ্ণপুর; উত্তর মহারানী; অফিসটিলা;কপালী
টিলা সহ বিস্তীর্ণ এলাকা গুলি।বুধবার ও বণ্য দাঁতাল হাতির দল সন্ধ্যা রাত্রি থেকেই তেলিয়ামুড়া বনদপ্তরের অধীনে অফিসটিলা এলাকার
বিভিন্ন স্থানে ধ্বংসের খেলায় মেতে ওঠে। এলাকার বেশ কয়েকজন বাসিন্দার বাড়িঘর,বসতঘর ধ্বংস করে দেয়। জানা যায়, বিগত ৫-৬
বছর যাবত বন্য দাঁতাল হাতির দল তেলিয়ামুড়া বনদপ্তরের অধীনে মাইগঙ্গা,অফিসটিলা সহ বিস্তীর্ণ এলাকা গুলিতে মানুষজনের
বাড়িঘর, কৃষিজ ফসল নষ্ট করছে। এলাকাবাসীরা দীর্ঘদিন যাবত চাইছে বনদপ্তর যেন হাতির সমস্যা নিরসনে স্থায়ী সমাধান করে দেয়।
কিন্তু কোনো এক অজ্ঞাত কারণে হাতির সমস্যা নিরসনে ব্যার্থ তেলিয়ামুড়া বনদপ্তর। যদিও দিনরাত হাতি তাড়ানোর কাজে ব্যাস্ত
রয়েছ তেলিয়ামুড়া বনদপ্তরের অধীনস্থ এ.ডি.এস টিম এবং হাতি তাড়ানোর কাজে নিযুক্ত গ্রামীণ এলাকার ভলান্টিয়াররা। কিন্তু তাদের
পক্ষে হাতির আক্রমণ থেকে সহজ সরল অসহায় গ্রামবাসীদের রক্ষা করা সম্ভব হয়ে উঠেনা কর্মী স্বল্পতার কারণে। এলাকাবাসীরা চাইছে
হাতি প্রবণ এলাকাগুলিতে আরো বেশি করে ভলান্টিয়ার নিয়োগ করা হোক। এদিকে গ্রামীণ এলাকার মহিলারা জানায়,আমরা গরিব মানুষ
আমরা সাড়া দিন হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে রাতের বেলায় ছেলে-মেয়ে নিয়ে যে শান্তিতে বসবাস করবো তার জো নেই। রাত হলেই হাতির
দল আক্রমণ চালায় বিভিন্ন এলাকায়।অন্যদিকে আরেক মহিলা অভিযোগ করে জানান, হাতির দল যে বাড়িঘর, সব্জি ক্ষেত ইত্যাদি
জিনিস নষ্ট করে তার জন্য ক্ষতিপূরণের আশায় বনদপ্তরের কাছে দু'দুবার করে বিভিন্ন কাগজপত্র জমা দিয়েছিলেন।কিন্তু এখন পর্যন্ত
কোনো সরকারি সাহায্যে পাননি। এ ব্যাপারে ফরেস্টার টুটন দেবনাথের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি স্বীকার করেন, এত কম
ভলান্টিয়ার দিয়ে হাতি তাড়ানো সম্ভবপর হয়ে ওঠেনা। তবু ও বনদপ্তর কর্মীদের সহায়তায় কোনরকমে হাতি তাড়ানো হয়। এখন
এলাকার লোকজন চাইছে হাতির সমস্যা নিরসনে এলাকা গুলিতে আরো বেশি বেশি করে ভলান্টিয়ার নিয়োগ করা হোক। এবং হাতির সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা হোক।
0 মন্তব্যসমূহ