চুড়াইবাড়ি গেটের অবৈধ কারবার দমনে কঠোর মুখ্যমন্ত্রী - Sabuj Tripura News

সবুজ ত্রিপুরা
১০ জুন
বৃহস্পতিবার

ধর্মনগর প্রতিনিধি:- দীর্ঘদিন যাবত রাজ্যের প্রবেশদ্বার চুড়াইবাড়ির পরিবহন ব্যবস্থায় অবৈধ কারবার চলছে। যার ফলে বাঁকা পথে পকেট গরম হচ্ছে  পরিবহন দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারদের। তবে এই বিষয়ে কোনো প্রকারে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে খবর পৌঁছতেই বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতেই রাজ্যের প্রবেশদ্বার চুড়াইবাড়ি সেল টেক্স গেটে ছুটে এলেন বুধবার। প্রসঙ্গত চুড়াইবাড়ি পরিবহন ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে বুধবার সকালে হেলিকপ্টারে চড়ে ধর্মনগরে আসেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। 

সেখান থেকে বিশাল কনভয় নিয়ে সড়ক পথে সোজা চলে যান চুড়াইবাড়ি সেল টেক্স গেটে। সেখানে গিয়ে পরিবহন ব্যবস্থার বিভিন্ন নথিসহ বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখেন। পরবর্তীতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী এখানের বিভিন্ন  দুর্নীতির কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন প্রতিদিন এই পথ দিয়ে রাজ্যে বহু জিনিস প্রবেশ করে। প্রবেশের সময় সঠিক ভাবে গাড়ী গুলোকে চেক করার দায়িত্ব পরিবহন দপ্তরের। অথচ এখানে পরিবহন দপ্তরের দায়িত্ব প্রাপ্তদের নয়ছয় রয়েছে। 

যেমন তিনি বলেন বুধবার সকাল থেকে মুখ্যমন্ত্রী আসার আগে পর্যন্ত এই গেট দিয়ে রাজ্যে ৯৬ গাড়ি প্রবেশ করে। কিন্তু ঐ গাড়ি গুলোতে কোন সমস্যাই ছিল না। অথচ মুখ্যমন্ত্রী আসলে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই কিছু সময়ের মধ্যে ১৫ টি গাড়ি চেক করলে ৩ গাড়ির মধ্যেই অতিরিক্ত মাল বোঝাই সহ অনান্য সমস্যা নজরে আসে। এছাড়া তিনি আরো বলেন দীর্ঘ বহু বছর যাবত রাজ্যের প্রবেশদ্বারের এই সেল টেক্স গেইটে লরির ওজন মাপার জন্য দুইটি ওয়েট মেশিনের মধ্যে একটি বিকল হয়ে আছে। 

এর সাথে জেনারেটরটি বিকল অথচ সরকার পরিবর্তন হওয়ার পরে অর্থাৎ ২০১৮ সালের মুখ্যমন্ত্রী ওয়েট মেশিনটি সারাই করার সাথে সাথে একটি নতুন জেনারেট ব্যবস্থা করার আদেশ দিয়ে ছিলেন। এরই সাথে তিনি আদেশ দিয়েছিলেন সেল টেক্স গেটে লরির স্ক্যানার মেশিন বসানোর জন্য। 

অথচ প্রায় তিন বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো এসবের ব্যবস্থা হয়নি। কেন হল না এ বিষয়টি খুব শক্ত হাতে দেখবেন বলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন। কেননা প্রায়শই বহি রাজ্য থেকে এই গেইট দিয়ে বিভিন্ন নেশাজাতীয় দ্রব্য অবৈধ ভাবে রাজ্যে প্রবেশ করে। অথচ পরিবহন কর্তৃপক্ষ অন্ধ যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা পালন করেন। 

এক্ষেত্রে বিভিন্ন আমলাদের যোগসাজশ রয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী তার বক্তব্যে আড়ালে বুঝিয়ে দেন। অনেক সময় বহু লরি গেইটে না দাঁড়িয়ে সোজা চলে যায়। এ বিষয়টিতেও স্থানীয় চুড়াইবাড়ি থানা যোগসাজশ রয়েছে বলে সরাসরি তিনি জানিয়েছেন। পাশাপাশি চুড়াইবাড়ি থেকে ধর্মনগর এরমধ্যে গড়ে ওঠা বিভিন্ন পাথরের ক্রেসার মেশিনের বৈধ কাগজপত্র খতিয়ে দেখার জন্য উত্তরের জেলা শাসককে আদেশ করেন উনি।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu