তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধি:- তেলিয়ামুড়া থানাধীন হাওয়াই বাড়ি নাকা পয়েন্টে বৃহস্পতিবার সাত-সকালে অন্যান্য দিনের মতো তেলিয়ামুড়া ট্রাফিক এএসআই বিজয় দাস এবং ইন্দ্রজিৎ দেববর্মা সহ তেলিয়ামুড়া ট্রাফিক দফতরের কর্মীরা হাওয়াই বাড়ি এলাকায় ভেহিকেল চেকিংয়ে বসে। এমন সময় আগরতলা দিক থেকে বহিঃরাজ্যোর উদ্দেশ্যে যাওয়া একটি ডাব্লিউবি৪১এফ৬১৬৭ নম্বরের একটি দূরপাল্লার লরি টিকে সন্দেহবশত তল্লাশি চালায়।
এই সময় গাড়িতে ছিল সীতা রাম যাদব নামে এক গাড়ি চালক সহ অপর আরেক যুবক। ট্রাফিক পুলিশ গাড়িটিতে তল্লাশি চালানোর সময় গাড়িতে থাকা অপর আরেক যুবক ট্রাফিক পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। তল্লাশি চালিয়ে গাড়ির নিচের গোপন কক্ষ থেকে মোট ৭৩৭ কেজি শুকনো গাঁজা ট্রাফিক পুলিশের হাতে আটক হয়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৩৬ লক্ষাধিক টাকার উপর। যদিও গাড়িতে থাকা গাড়ির চালক সীতারাম যাদব কে পুলিশ আটক করতে সক্ষম হয়।
ঘটনার খবর যায় তেলিয়ামুড়া ট্রাফিক ডিএসপি বিক্রম জীত শুক্ল দাসের কাছে। এবং খবর যায় তেলিয়ামুড়া থানায়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন ট্রাফিক ডিএসপি সহ তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ এবং বিশাল টিএসআর বাহিনী। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তেলিয়ামুড়া ট্রাফিক ডিএসপি বিক্রম জীত শুক্ল দাস জানান, উদ্ধারকৃত শুকনো গাঁজার গুলির আনুমানিক বাজার মূল্য লক্ষাধিক টাকার উপর। তবে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ পরে জানা যায় গাঁজা গুলো জিরানিয়া কলাবাগান পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন এলাকা থেকে গাড়ি লোডিং করা হয়েছিল বহিঃ রাজ্যের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
হাওয়াই বাড়ি নাকা পয়েন্ট এলাকায় আসতেই ট্রাফিক পুলিশের হাতে ধরা পড়ে ৭৩৭ কেজি শুকনো গাঁজা। তবে এখন প্রশ্ন হলো জিরানীয়া থানা এবং চম্পকনগর পুলিশদের চোখে ধুলো দিয়ে কিভাবে তেলিয়ামুড়া হাওয়াই বাড়ি এলাকায় তেলিয়ামুড়া ট্রাফিক পুলিশের হাতে গাজা গুলো ধরা পড়ল। তবে কি একাংশ পুলিশ বাবুদের কারণে রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী যে নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়ার স্বপ্ন দেখছে তা ব্যার্থ হবে, এমনই প্রশ্ন উঠছে জনমহল থেকে।
0 মন্তব্যসমূহ