সবুজ ত্রিপুরা
২৩ নভেম্বর
বুধবার
ধর্মনগর প্রতিনিধিঃ আবারও ধর্মনগরে এক গৃহ বধুর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করলো পুলিশ,মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ ধর্মনগর মহিলা থানার পুলিশের কাছে খবর আসে রাজবাড়ি ১৩ নং ওয়ার্ড এলাকায় নিজ বাড়িতেই স্নানের ঘরে এক গৃহ বধু আত্মঘাতী হয়েছে, পুলিশ
সাথে সাথে ঘটনা স্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। জানা গেছে মৃতার নাম পুজা দাস (২৯) ,মৃতার স্বামী কাজল দেব ট্র্যাফিক পুলিশে কর্মরত।তাদের বছর দেরএক এর একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বিবাহের ৩ বছরের মাথায় স্ত্রী'র অস্বাভাবিক মৃত্যু। এ নিয়ে পুজার বাপের বাড়ির লোকজনরা সরসরি সাংবাদিকদের বলেছেন এটি পরকল্পিত হত্যা হতে পারে , মৃতার ভাই সন্দেহ প্রকাশ করে বলেছেন যে ভাবে স্নানের ঘরে মৃতদেহ দেখতে পাওয়া গেছে তাতে কোন ভাবে এটি আত্মহত্যা মনে হচ্ছে না। এছাড়াও মৃতার ভাই এর অভিযোগ তার বোনের স্বামী অর্থাৎ কাজল দেব তার স্ত্রী পুজা কে কোন জায়গায় বেড়াতে পর্যন্ত যেতে দিত না । এক প্রকার ঘরে বন্দি করে রেখেছিলট্র্যাফিক পুলিশে কর্মরত কাজল দেব তার স্ত্রী'কে বলে অভিযোগ। এদিকে মৃতার শাশুড়ি জানিয়েছেন ঘটনার সময় উনার ছেলে কাজল দেব ডিউটিতে ছিল। পুজা ঘরের কাজ কর্ম সেড়ে স্নান করতে যায় কিন্তু দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও স্নান সেরে না আসায় , তিনি ডাকা ডাকি করেন ,তাতেও কোন সাড়া দেয় নি পুজা, পরবর্তীতে তিনি ছেলে কে খবর দিলে সে বাসায় এসে দরজা ভেঙ্গে তার স্ত্রীর ঝুলন্ত মৃত দেহ দেখতে পায়। এদিকে পুজার বাপের বাড়ি লোকজনরা প্রশ্ন তুলেছেন যে পুজা কে এই
হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন
অবস্থায় দেখাতে পেয়ে সাথে সাথে কেন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল না? পুলিশ মৃতার স্বামী সহ শাশুরির প্রথমিক ভাবে স্টেটমেন্ট নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। এবার দেখার পুলিশি তদন্তে কি বেড়িয়ে আসে পরিকল্পিত হত্যা নাকি আত্মহত্যা। তবে উল্লেখ
যোগ্য বিষয় হচ্ছে মৃতার স্বামী নিজেও পুলিশে কর্মরত, পুলিশ কি এই মামলায় নিরপেক্ষ তদন্ত করবে? আর যদি পুজা নিজে আত্মঘাতী হয়ে থাকে তাহলে কিন্তু স্বামী একদম নিরপরাধ হয়ে যাবে না কারন মৃতার বাপের বাড়ির লোকজনরা যে অভিযোগ করেছেন তাতে স্পষ্ট বোঝা গেছে যে পুজা তার স্বামীর কারণে মানষিকভাবে বিষণ্ণ ছিল।
0 মন্তব্যসমূহ