সভ্য সমাজে আরো এক গৃহবধূর বীভৎস কাহিনী প্রকাশ্যে এলো-Sabuj Tripura

 

সবুজ ত্রিপুরা

২৩ নভেম্বর

বুধবার

কদমতলা প্রতিনিধিঃ সভ্য সমাজে আরো এক গৃহবধূর বীভৎস কাহিনী প্রকাশ্যে এলো। সমাজ যে এখনো সামাজিক বর্বরতা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি তার জল জ্যান্ত উদাহরণ এই নির্যাতিতা,

অবহেলিত সদ্য বিবাহিত ঐ গৃহবধূ। বীভৎসকর এই ঘটনার করুন কাহিনী সংগঠিত হয় উত্তর ত্রিপুরা জেলার কদমতলা থানাধীন তারকপুর গ্রামে। ওই গ্রামের বাসিন্দা মাতাব উদ্দিন(২৮),(পিতা আনসার আলী) চলতি বছরের পহেলা এপ্রিল মুসলিম ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী অসমের করিমগঞ্জ জেলার কাঠালতলীর বাঘন গ্রামের বাসিন্দা পারভেজ সুলতানার(কাল্পনিক নাম) সঙ্গে বিবাহ হয়। বিয়ের সময় বরপক্ষ আসবাবপত্র সহ মোটরবাইক দাবি করে কিন্তু দরিদ্র পিতৃহারা কন্যার মা তা দিতে পারেনি । যাই হোক এরপরও ভালোয় ভালোয় বিবাহ সম্পন্ন হয়। কিন্তু বিবাহের পর দু মাসের মধ্যে সুলতানা গর্ভবতী হয়ে পড়ে তখন স্বামী মাতাব উদ্দিন ও তার পরিবার তার গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য তাকে চাপ দেয় এবং সে রাজি না হওয়ায় প্রতিরাতেই তাকে মারধর করা হতো বলে জানায় ওই গৃহবধূ। এরই মধ্যে কোন একদিন রাতের খাবার পর স্বামী আতাব উদ্দিন ও তার কাকি স্বপ্না বেগম দুজনে মিলে বলপূর্বক গৃহবধূকে ব্রণ হত্যার ওষুধ খাইয়ে দেয়। তাতে পরদিন থেকে প্রচন্ড রক্তপাত হচ্ছিল, এই অবস্থায় তাকে প্রথমে কদমতলা হাসপাতালে নিয়ে  গেলে সেখানে চিকিৎসকরা জেলা হাসপাতাল ধর্মনগরে স্থানান্তরিত করেন। সেখানেও তার সমাধান না হওয়ায় পরবর্তীতে মাকুন্দা লেপ্রসি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেও থাকে অর্থের জন্য চিকিৎসা করানো হয়নি বলে অভিযোগ করে গৃহবধূ। পরবর্তী সময়ে তাকে তার কাঁঠালতলিস্থিত বাঘন গ্রামে বাবার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। এই অবস্থায় আরো তিন মাস কেটে গেলেও এখন পর্যন্ত তার গর্ভের সন্তানটি কি অবস্থায় আছে 

                         হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

তার খবর নিচ্ছে না স্বামী সহ স্বামীর পরিবারের লোকজনরা। অথচ প্রতিদিনই তার রক্তপাত হচ্ছে বলে সে জানায়। এদিকে এই বিষয়ে গৃহবধূ কদমতলা থানায় লিখিত অভিযোগ জানালেও পুলিশ স্বামীসহ অন্যান্য অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোন আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না বলেও চরম অভিযোগ তুলে ওই গৃহবধূ। সে শ্বশুরবাড়ির স্বামী মাতাল উদ্দিন,শ্বশুর আনসার আলী,শাশুড়ি আলিমুল নেছা, কাকা শশুড় সিদ্দেক আলী ও কাকী শাশুড়ি স্বপ্না বেগমের নামে লিখিত অভিযোগ করে কদমতলা থানায়। বিগত প্রায় দেড় মাস অতিক্রান্ত হলেও পুলিশ হাত-পা গুটিয়ে বসে রয়েছে অজ্ঞাত কারণে। অপরদিকে জানা গেছে তার স্বামী মাতাবও গৃহবধুর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে কদমতলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। আজ বুধবার কদমতলা থানার অ সি জানিয়েছেন আগামী কাল গৃহবধূকে পুনরায়  ধর্মনগরে গর্ভপাত করানোর জন্য নিয়ে যাওয়া হবে গৃহবধুর মা , স্বামী ও পরিবারের অন্যান্যরা। 

বর্তমানে চরম রক্তস্বল্পতায় ভুগছে ওই গৃহবধূ। তবে কি ব্রণ হত্যার মতো অপরাধ জনক কাজ করেও পার পেয়ে যাবে মাতাবদের মতো অপরাধীরা ? এটাই এখন লক্ষ টাকার প্রশ্ন। এদিকে গৃহবধূ সম্পূর্ণ আইনী সহযোগিতা ও ন্যায় বিচারের আশায় কদমতলা থানা ও রাজ্যের মহিলা কমিশনের নিকট আবেদন জানিয়েছে।  

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu