ধর্মনগর প্রতিনিধি:- রাজ্যে প্রতিনিয়ত বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তাই করোনা নিয়ন্ত্রণে রাজ্যে জারি করা হয়েছে করোনা কারফিউ সাথে রয়েছে করোনা নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন সতর্কতা। অথচ সরকারের দেওয়া নির্দেশিকা গুলো প্রতিনিয়ত উপেক্ষিত হচ্ছে সরকারি দপ্তর গুলোতেই। এমনি দৃশ্য দেখা গেল ধর্মনগর বিদ্যুৎ দপ্তরের কার্যালয়ে।
যেখানে সরকার করোনা থেকে নিজেদের রক্ষা করতে মাস্কের সাথে সাথে সামাজিক দূরত্বের দিকেও বিশেষ নজর দিতে বলেছে সেখানে বিদ্যুৎ দপ্তরে বিদ্যুৎ বিল দিতে আসা সাধারন জনগনের উপচে পরা ভিড় করোনা আতঙ্ক যেন আরো বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু আশ্চর্য জনক বিষয় দপ্তরে আসা সাধারণ মানুষদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ক্ষেত্রে দপ্তরের ভূমিকা শূন্য।
সরকারী দপ্তর গুলোতেই যদি এভাবে করোনা সতর্কতাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখানো হয় তবে করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকারের সফলতা কিভাবে আসবে? এটাই এখন মূল প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেননা সরকার গোটা রাজ্যের সর্বত্র কড়া ভাবে নির্দেশ দিয়েছেন সকলেই যেন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখেন। এমনকি হাট বাজারের দোকান গুলোতে ক্রেতা সাধারন যেন অন্তত ১ মিটার দূরত্ব মেনে চলে।
এমনকি ধর্মনগরের কিছু কিছু দোকানে বিগত দিনে প্রশাসনিক ভাবে সামাজিক দূরত্ব না মানার অপরাধে দোকানদার দের জরিমানাও করা হয়েছে। সামাজিক দুরত্বের কথা চিন্তা করে ধর্মনগরের বিভিন্ন বাজার গুলোকে খোলা মাঠে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। অথচ ধর্মনগর বিদ্যুৎ দপ্তরে বিল দিতে আসা ব্যাক্তিরা ১ মিটার দূরত্ব তো দূরে থাক সকলে প্রায় একে অপরের উপরে হুমরী খেয়ে পড়ে আছে।
বিদ্যুৎ দপ্তরে বিল দিতে আসা মহিলা এবং বয়স্কদের অভিযোগ তাদের জন্য নেই কোন পৃথক বিল কাউন্টার। যার ফলে সবার সাথে বয়স্কদের একি লাইনে দাঁড়িয়ে বিল দিতে হচ্ছে। অথচ সবার জানা করোনায় বয়স্কদের জীবনেই সবচাইতে বেশি ঝুঁকি। পাশাপাশি বর্তমান করোনা কালিন পরিস্থিতিতে জনগনের স্বার্থ ভীড় এড়াতে আরো কিছু বিল কাউন্টার খুলে দেওয়ার দাবি উঠেছে।
দপ্তরের কোন কর্মীর সাহায্যে বিল দিতে আসা সাধারন জনগনদের দপ্তরে প্রবেশের সময় সেনিটাইজ করা এবং যদি সামাজিক দূরত্বটা বজায় রাখা যেতো তবে বিদ্যুৎ দপ্তরে বিল দিতে এসে করোনা সংক্রমিত হয়ে বাড়ি ফেরার আতঙ্ক থেকে জনগন অনেকটাই রেহাই পেত। কেননা বর্তমানে ধর্মনগর বিদ্যুৎ দপ্তরের ভীড় গোটা দপ্তরকেই যেন করোনা বিস্তারের মুক্তাঞ্চল করে তুলেছে।
তবে বলতে গেলে শুধু মাত্র এই দৃশ্য কেবলমাত্র ধর্মনগর বিদ্যুৎ দপ্তরেরই নয়। অধিকাংশ দপ্তরে এখনো করোনা সতর্কতাকে হেলামির চোখেই দেখা হচ্ছে। যেভাবে হু হু করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তাতে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রতিটি সরকারী দপ্তরে আসা সাধারন জনগনদের সেনিটাইজারের সাথে সাথে মাস্ক ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ক্ষেত্রে দপ্তর কর্তৃপক্ষের নজর রাখা প্রয়োজন।
0 মন্তব্যসমূহ