প্রেমের ফাঁদে ফেলে গাড়িতে করে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ নাবালিকার - Sabuj Tripura News

সবুজ ত্রিপুরা
১ জুন
মঙ্গলবার

ধর্মনগর প্রতিনিধি:- গত ২৮ মে শুক্রবার সকাল আনুমানিক আটটা নাগাদ উত্তর জেলার পানিসাগর মহকুমার অন্তর্গত পাহাড়ি এডিসি ভিলেজের এক চৌদ্দ বর্ষিয়া নবম শ্রেণিতে পাঠরতা নাবালিকা কন্যাকে প্রেমের প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে প্রতারক প্রেমিক গাড়ি করে নির্জন জঙ্গলাকীর্ন স্থানে নিয়ে গিয়ে বন্ধু সমেত ঐ গাড়িতেই নাবালিকার উপর গণ ধর্ষনের মতো পাশবিক লালসা চরিতার্থ করে। 

জানা গেছে পানিসাগর নগর পঞ্চায়েত এলাকার পরিবারের দুই যুবক রাজেশ রুদ্রপাল(২৭) পিতা-রাজ চন্দ্র রুদ্রপাল এবং তার বন্ধু পেশায় গাড়ি চালক শুভজিৎ সেন(২৭) পিতা- মৃত শঙ্কর  লাল সেন নিজের এএস১০বি০১৩৩ নম্বরের শেভ্রোলেট গাড়ি করে চৌদ্দ বর্ষিয়া নাবালিকা মেয়েটিকে পাশ্ববর্তী চাঁদপুর গ্রামের গভীর জঙ্গলাকীর্ন নির্জন  স্থানে নিয়ে যায়। 

নিয়ে গিয়ে প্রথমে রাজেস এবং পরবর্তীতে গাড়ি চালক শুভজিৎ বার কয়েক ধর্ষন করে বলে জানায় নাবালিকা কন্যাটি। আরো জানা যায় চাঁদপুর গ্রামে আগে থেকেই দুই ধর্ষকের আরেক বন্ধু সঞ্জয় নাথ কে(২৪) ঐ স্থানে মজুত রাখা হয়েছিল তাদের পাহারা দিয়ে সহায়তা করার জন্য। সেই মোতাবেক তাদের পূর্ব পরিকল্পনা মতো নাবালিকা কন্যাটিকে বার কয়েক ধর্ষন করে গুরুতর আহত অবস্থায় পুনরায় গাড়ি করে বাড়িতে দিয়ে চলে যায় রাজেশ ও শুভজিৎ। 

জানা গেছে সঞ্জয় নাথ দুই বন্ধুকে সহায়তা করলেও সে নাবালিকা মেয়েটিকে ধর্ষন করেনি। দীর্ঘ প্রায় তিন ঘন্টা পর প্রায় বেলা এগারোটা নাগাদ মেয়েটি বাড়ি ফেরার পর থেকেই ক্রমশঃ মেয়েটির শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। শনিবারের পর রবিবার সকালে মেয়েটির শারিরীক অবস্থার চরম অবনতি ঘটলে মেয়েটি তার মায়ের নিকট আসল সত্য খোলে বলে। মেয়েটির কাছ থেকে সম্পূর্ণ ঘটনা শুনার পর তড়িঘড়ি নির্যাতিতা নাবালিকা মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে পানিসাগর থানায় অভিযুক্ত তিন জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। 

ধর্ষিতা কন্যাটির অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার রাতেই পানিসাগর থানার পুলিশ অভিযুক্ত শুভজিৎ এবং সহযোগী সঞ্জয় কে আটক করে পানিসাগর থানায় নিয়ে আসে। তবে এই গণ ধর্ষণ কান্ডে মূল অভিযুক্ত রাজেশ রুদ্রপালকে আটক করতে সক্ষম হয় নি। পুলিশি হানার আচ পেয়ে সে বাড়ি থেকে পালায়। পানিসাগর থানার পুলিশ তাকে খোঁজছে। ধারনা করা হচ্ছে অচিরেই তাকে জালে তুলতে সক্ষম হবে পুলিশ। 

এই বিষয়ে অভিযুক্ত গাড়িটিকে তল্লাশি করতে কৈলাশহর থেকে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ টিম এসে সরজমিনে তদন্ত শুরু করেছে। পানিসাগর থানায় আন্ডার সেকশন ৩৪২/৩৬৩/৩৭৬/(২)(রোমান ওয়ান)/৩৭৬(ডি)৫০৬ আইপিসি০৪ অব পক্সো আইনে মামলা নিয়ে তদন্ত কার্য জারি রাখা হয়েছে। এই ঘটনায় গোটা উওর জেলা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu