ধর্মনগর প্রতিনিধি:- উত্তর জেলার পানিসাগর মহকুমার অন্তর্গত উত্তর পদ্মবিলের জ্বলাবাজার হাই স্কুল সংলগ্ন ধানের জমিতে এক যুবকের মৃতদেহ দেখতে পেয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। ঘটনা চাউর হতেই স্থানীয় জনগন ঘটনা স্থলে ভীড় জমায়, খবর পাঠানো হয় পানিসাগর থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পানিসাগর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সৌভিক দে সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী। জানাগেছে মৃত যুবকের নাম জামির হুসেন(২৪), পিতা-আব্দুল হাকিম।
বাড়ি উত্তর পদ্মবিল পঞ্চায়েতের ৩ নং ওয়ার্ডে। মৃতের জ্যাঠা আব্দুল কাদির জানান যে, সোমবার রাত্রি আনুমানিক ৯.৩০ মিনিট নাগাদ নিজ বাড়িতে অসুস্থ পিতাকে রাত্রির খাবার খাইয়ে বাড়ির সামনেই নিজ দোকানে ঘুমাতে যান জামির হুসেন। এদিকে প্রতিদিনের মত অসুস্থ পিতা এবং তার মা ও ছোট বোন নৈশভোজ সেরে ঘুমিয়ে পড়েন। এরিমধ্যে মঙ্গলবার সকালে বাড়িতে খবর যায় বাড়ি থেকে প্রায় ১ কি.মি দূরে উত্তর পদ্মবিল স্কুল সংলগ্ন এলাকায় জামির হুসেন এর মৃতদেহ পাওয়া গেছে।
খবর পাওয়া মাত্র পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। আরো জানা যায় দীর্ঘদিন যাবৎ বহিরাজ্যের ব্যাঙ্গালোরে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন জামির হুসেন। করোনা কালীন পরিস্থিতিতে কারফিউ চলাকালীন সময়ে গতকাল এত রাতে সে কিভাবে বাড়ি থেকে বের হয়ে প্রায় ১ কিমি দুরত্বে এসে এভাবে খুন হয়ে গেল তা নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। যে জমিতে তার মৃত দেহটি পাওয়া গেছে পাশের রাস্তার ধারে তার কাকাত্বো ভাইয়ের টিআর০২/৮৮৪৩ নম্বরের বাইকটি পাওয়া যায়।
বাইকটি উদ্ধারের সময় লক্ষ্য করা যায় বাইকটি চাবি লাগানো অবস্থায় ছিলো এবং বাইকের পাশে ওর ১টা জুতা পাওয়া যায়। তবে মৃত যুবকের মাথায় এবং বুকে একাধিক জাগায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনার পরই পানিসাগর থানার পুলিশ এবং মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ঘটনা স্থলে পৌছে মৃত ব্যাক্তির খুনিদের সন্ধানে ঊনকোটি জেলা থেকে ফরেনসিক টিম এবং ডগ স্কোয়াড আনা হয়। ডগ স্কোয়াডের টিম ডগ নিয়ে খুনিদের তল্লাশিতে বেরোলে এলাকার কিছু লোক ডগ স্কোয়াডের মাস্টারের হাত থেকে ডগ টিকে ছিনিয়ে নিয়ে নিজেরাই নিয়ে সামনের দিকে ছুটে যায়।
এমতাবস্থায় প্রায় তিন চার শতাদিক জনগনের ভীড়ের মধ্যে ডগটি যখম প্রাপ্ত হয়।পরবর্তীতে উপস্থিত পুলিশের মদতে ডগ টিকে নিয়ে ডগ স্কোয়াডের টিম চিকিৎসার জন্য ঘটনাস্থল থেকে বেরিয়ে আসে। পানিসাগর থানার পুলিশ জানিয়েছে অচিরেই খুনিদের সনাক্ত করে জালে তুলবে। মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য পানিসাগর হাসপাতালের মর্গে পাটানো হয়। ময়না তদন্ত শেষে মৃত দেহ পরিবারের হাতে সোপর্দ করা হবে। এই নিয়ে গোটা মহকুমা জোড়ে উওেজনা বিরাজ করছে।
0 মন্তব্যসমূহ