উত্তর জেলায় যতই বাড়ছে করোনা ততই বাড়ছে অসচেতনতা - Sabuj Tripura News

সবুজ ত্রিপুরা
২১ মে
শুক্রবার

ধর্মনগর প্রতিনিধি:- গোটা দেশের সাথে সাথে রাজ্যও প্রতিদিন বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তবে বর্তমানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে উত্তর জেলা। সম্প্রতি বেশ কিছুদিন যাবৎ লক্ষ্য করা যাচ্ছে রাজ্যের মোট ৮ টি জেলার পরিসংখ্যান অনুযায়ী পশ্চিম ত্রিপুরা করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় প্রথম স্থানে থাকলেও কখনো দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর জেলা। 

কেননা রাজ্যের প্রবেশ দার হচ্ছে উত্তর জেলা। সড়কপথ কিংবা রেলপথ উত্তর জেলা অতিক্রম করেই বহি রাজ্যের জনগণদের যেতে হয় অনান্য জেলায়। অথচ উত্তর জেলা শহর ধর্মনগরের প্রতিনিয়ত লক্ষ্য করা যাচ্ছে করোনা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে অসচেতন জনগণের ছড়াছড়ি। ধর্মনগরের বিভিন্ন হাট-বাজারে কিংবা গ্রাম-শহরের দোকানগুলোতে প্রতিনিয়ত রয়েছে উপচে পড়া ভিড়। 

সম্প্রতি আরও লক্ষ্য করা গেছে যেদিন থেকে উত্তর জেলার ধর্মনগরে সন্ধ্যা ৬ টা থেকে নাইট কারফিউ শুরু হয়েছে সেদিন থেকেই প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল ধর্মনগরের মূল বাজারে থাকে ক্রেতাদের প্রচন্ড ভিড়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক বিষয় অধিকাংশ ক্ষেত্রে সবজি, মাছ ,মাংস, সহ বিভিন্ন বিক্রেতাদের মুখে দেখা যায় না মাস্ক। এর ফলে করোনা সংক্রমণ বিস্তারে চরম সম্ভাবনা রয়েছে। 

বিক্রেতরা যেমন অসচেতন ,ঠিক তেমনি চরম অসচেতনতা লক্ষ্য করা যায় একাংশ ক্রেতাদের মধ্যে। তারা অধিকাংশ ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব কে পরোয়া না করে অনায়াসে বাজারে ক্রয় করে চলেন। যেখানে চিকিৎসকরা বারবার করোনা থেকে বাঁচতে ডাবল মাস্ক পড়ার পরামর্শ দিচ্ছে। 

সেখানে বাজারে লক্ষ্য করা যায় কিছু সংখ্যক জনগণ মাস্ক বিহীন তো অনেকেই আবার অতি নিম্নমানের মাস্ক ব্যবহার করছেন। যা করোনা নিয়ন্ত্রণে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ, ইদানিং তো বেশকিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে করোনা আক্রান্ত রোগীরা আরটিপিসিআর টেস্টের জন্য হাসপাতালে সোয়াব দিয়ে এসে অনায়াসে বাজারে শহরে ঘোরাফেরা করেছেন। 

নিয়ম অনুযায়ী আরটিপিসিআরের রিপোর্ট আসতে দু-তিন দিন লাগে। এই দুদিন তিনদিনের মধ্যে রোগীরা বাড়িতে আইসোলেসনে না থেকে যেখানে সেখানে অনায়াসেই ঘোরাফেরা করেন। আর দুদিন পর যখন তার পজিটিভ রিপোর্ট আসে তখন লক্ষ্য করা যায় রিপোর্ট আসার আগে পর্যন্ত ঐ করোনা আক্রান্ত অনায়াসেই ঘোরাফেরা করে বহু জনগণের সংস্পর্শে এসে করোনা ছড়িয়েছে। 

পাশাপাশি বহু এমনও রয়েছেন তাদের মধ্যে করোনা উপকরণ থাকার পরেও তারা টেস্ট না করিয়ে বাজারে ঘোরাফেরা করেন। এসকল বিষয় থেকে আন্দাজ করা যায় বর্তমানে বহু করোনা আক্রান্ত সর্বত্রই ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। কিন্তু তার পরেও একাংশ জনগণ এখনো অসচেতনতায় দিন কাটাচ্ছেন। এভাবেই যদি চলতে থাকে তবে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই গোটা উত্তর জেলায় করোনা চরম আকার ধারণ করবে। তখন হয়তো পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হবে সকলকে। তাই এখন থেকেই সকলের সচেতনতা প্রয়োজন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu