ধর্মনগর প্রতিনিধি:- হুহু করে দেশ ও রাজ্যে বাড়ছে করোনা সংক্রমনের হার। আর এই সংক্রমণের হার রোধ করতে প্রথমে রাজ্যের প্রতিটি জেলার পুর নিগম, পুর পরিষদ ও নগর পঞ্চায়েত এলাকায় নৈশকালীন কারফিউ জারি করেছিলো রাজ্য সরকার।
পরবর্তীতে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির হাল বিবেচনা করে সেই সিদ্ধান্ত বদল করে গোটা রাজ্য জুড়েই জারি করা হয় নৈশকালীন করোনা কারফিউ। যা রাজ্যের প্রতিটি জেলায় সন্ধ্যা ৬ টা থেকে পরদিন ভোর ৫ টা পর্যন্ত বলবৎ রয়েছে। আর এই নৈশকালীন কারফিউ যাতে রাজ্যের প্রতিটি জনগণ সঠিকভাবে পালন করে তার লক্ষ্যে রাজ্যের প্রতিটি জেলায় পুলিশ প্রশাসন শক্ত হাতেই মাঠে নেমেছে।
কার্ফু চলাকালীন সময়ে অবৈধ চলাচলের ক্ষেত্রে চলছে প্রশাসনের তরফে জোর জিজ্ঞাসাবাদ, সাথে নেওয়া হচ্ছে আইনি ব্যবস্থা। আর অন্যদিকে কারফিউ চলাকালীন নিস্তব্ধতার সুযোগ নিয়ে রাজ্যের দ্বিতীয় বাণিজ্যক শহর ধর্মনগরে শুরু হয়েছে চোরের উপদ্রব। বুধবার গভীর রাতে ধর্মনগর থানাধীন মনতলা বাজারে একিসাথে পর পর ৬ টি দোকানে চোরের দল থাবা বসায়।
প্রতিটি দোকানের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দোকানের জিনিসপত্র সহ নগদ অর্থ নিয়ে চম্পট দেয় চোরের দল। বৃহস্পতিবার সাত সকালে প্রাতঃভ্রমণে বের হওয়া জনগণ বিষয়টি প্রত্যক্ষ করলে চুরি হওয়া দোকান মালিকদের খবর দেয়। সাথে সাথেই দোকান মালিক সহ আশপাশের জনগণ জড়ো হতে থাকে সংশ্লিষ্ট এলাকায়। খবর দেওয়া হয় ধর্মনগর থানায়।
ধর্মনগর থানার এসআই দয়াল চাকমার নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং ঘটনার বিবরণ সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করে। এদিকে চুরি হওয়া দোকান মালিকরা সাংবাদিকদের ঘটনার বিবরন দিতে গিয়ে নৈশকালীন কার্ফুতে প্রহরা রত পুলিশ বাবুদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
0 মন্তব্যসমূহ