বিশালগড় প্রতিনিধি:- ঘটনা চরিলাম আর ডি ব্লকের অন্তর্গত আরালিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজিব কলোনি এলাকায়। মৃত যুবকের নাম মিটন দেব(৩৫)। পেশায় রাজমিস্ত্রি, গত বৃহস্পতিবার জ্বর হয় মিটনের। সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের লোকজন তাকে বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে রেফার করা হয় হাপানিয়াতে।
হাপানিয়া থেকে রেফার করা হয় জিবি হাসপাতালে। জিবিতে টেস্ট করানোর পর বলা হয় করোনা পজিটিভ। তিন দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে শেষমেষ শনিবার ভোর চারটার সময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন মিটন দেব। সকালবেলা খবর আসে বাড়িতে, কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে পরিবারের লোকজন।
মিঠুনের মা, স্ত্রী এবং দুই ছোট ছোট শিশুর চিৎকারে গোটা গ্রামের আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। মৃতদেহ দেখতে দেওয়া হয়নি মিঠুনের স্ত্রী এবং তার দুই সন্তান দের। তাদের চিৎকারে গোটা গ্রামের মানুষের চোখে জল। হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য দেওয়া হয়নি।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বটতলা মহাশ্মশানে দাহ করবে বলে জানিয়েছেন। গোটা গ্রাম আতঙ্কিত, চরিলাম গ্রামে দ্বিতীয় মৃত্যু করোনায়। এক ভয়াবহ অবস্থার দিকে ধাবিত হচ্ছে চরিলাম গ্রামের পরিস্থিতি। সারাদেশ করুণা সংক্রমণ দিশেহারা। গ্রামের মানুষও এখন ভয়ে কাঁপছে।
করোনা এমন এক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে যে শেষবারের মতো মৃত ব্যক্তির মুখ টি পর্যন্ত দেখতে পারছেনা পরিবারের লোকজন। এমন পরিস্থিতি কখনো হবে ভাবতে পারেনি হয়তো মানবজাতি।
0 মন্তব্যসমূহ