ধর্মনগরে বিদ্যুৎ দপ্তরের সামনে বামেদের বিক্ষোভ - Sabuj Tripura News

সবুজ ত্রিপুরা 
১৮ ডিসেম্বর ২০২০  
শুক্রবার

ধর্মনগর প্রতিনিধিঃ বিদ্যুৎ বেসরকারীকরণ ও বিদ্যুৎ মাশুল বৃদ্ধির প্রতিবাদ সহ বিদ্যুৎ বিল - ২০২০ বাতিল করার দাবি নিয়ে বৃহস্পতিবার সারা রাজ্যের সাথে সাথে ধর্মনগরেও সারা ভারত কৃষক সভা,সিআইটিইউ,ত্রিপুরা ক্ষেতমজুর ইউনিয়ন ও অনান্য বেশ কয়েকটি বাম গন সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে সিপিআই (এম) ধর্মনগর মহকুমা দপ্তর থেকে বিক্ষোভ মিছিল সংগঠিত হয়। মিছিলটি বৃহস্পতিবার দুপুরে সিপিআই(এম) কার্যালয় থেকে বেরিয়ে ধর্মনগর বিদ্যুৎ দপ্তরের সামনে গিয়ে  বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।বেশ কিছু সময় বামেদের উদ্যোগে বিক্ষোভ প্রদর্শনের কারণে ধর্মনগর বিবেকানন্দ রোড থেকে শুরু করে নয়াপাড়ার কদমতলা রাস্তায় যানবাহন ও পথচারীরা আটকা পড়ে যান। 


এই বিক্ষোভ কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন সিপিআই(এম) উত্তর জেলা কমিটির সম্পাদক অমিতাভ দত্ত। ছিলেন সিপিআই ধর্মনগর মহকুমা কমিটির সম্পাদক অভিজিৎ দে সাথে ছিলেন বিধায়িকা  বিজিতা নাথ সহ অনান্য বাম নেতৃত্বরা। বিক্ষোভ জমায়েত থেকে আওয়াজ উঠে।বিদ্যুৎ বিল-২০২০ বাতিল করতে হবে।বিদ্যুৎ ক্ষেত্রকে বেসরকারিকরণ করা চলবে না। ত্রিপুরায় পাঁচটি বিদ্যুৎ সাব ডিভিশন বেসরকারিকরণ করার সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে।  ত্রিপুরায় বিদ্যুৎ গ্রাহকদের উপর চাপিয়ে দেওয়া অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।বিদ্যুৎ দপ্তরে সমস্ত শূণ্যপদ পূরণ করতে হবে।এই দাবীগুলোর ভিত্তিতে দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যুৎ দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ ধর্ণা সংগঠিত করার পর বিক্ষোভ মিছিল পুনরায় সিপিআই (এম) ধর্মনগর মহকুমা দপ্তরে ফিরে আসেন। মিছিল শেষে উত্তর জেলার সিপিআই(এম) সম্পাদক অমিতাভ দত্ত জানান।বিদ্যুৎ বিল ২০২০ বিলটি আইনে পরিণত হলে বেসরকারি মালিকদের স্বার্থ অগ্রাধিকার পাবে। বিদ্যুতের দাম অস্বাভাবিক ভাবে বাড়বে। একই দামে সকলকে বিদ্যুৎ সংগ্রহ করতে হবে। সামাজিক বৈষম্য ও সংকট সৃষ্টি হবে। বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানি গুলোর সরকারি ব্যাংকের কাছে অপরিশোধিত ঋণ জনগণকে বহন করতে হবে।কয়লা সহ প্রকৃতিক শক্তির উৎস বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। ফলে বিদ্যুৎ-এর দাম ও লাগামহীন ভাবে বাড়বে।বিদ্যুৎ রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের যৌথ দায়িত্ব। একতরফা ভাবে রাজ্য সরকারগুলোর কোন মতামত না নিয়ে বিদ্যুৎ বেসরকারিকরণের ফলে দেশের যুক্ত রাষ্ট্রীয় কাঠামো ভেঙ্গে পড়বে।ত্রিপুরায় বিদ্যুৎ নিগমের ৫টি ডিভিশন ফ্রাঞ্চাইজির নামে বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে সেসব ডিভিশন এলাকায় গ্রাহকদের চরম দুর্ভোগ শুরু হয়ে গেছে বলে দাবি করেন তিনি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu