ধর্মনগর প্রতিনিধিঃ ভারতীয় জনতা পার্টির প্রতি জনসমর্থন এখনও যে অটুট তা প্রত্যক্ষ করাগেল ধর্মনগরে কৃষি আইনের সমর্থনে আয়োজিত জনসভা তে উপস্থিত সহস্রাধিক ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মী সমর্থকদের তঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে। দেশের রাজধানী দিল্লিতে কেন্দ্রীয় সরকারের গৃহীত কৃষি আইনের বিরোধিতা করে হরিয়ানা,পাঞ্জাব,গুজরাট সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কৃষকরা প্রায় এক পক্ষকাল যাবৎ লাগাতার বিক্ষোভ প্রদর্শন করে চলেছেন। কৃষকদের আন্দোলনের সুরাহা করতে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে শুরু কৃষিমন্ত্রী সহ একাধিক মন্ত্রীরা কৃষকদের সাথে দফায় দফায় বৈঠক করেও কোন সমাধান সূত্র বের করতে পারেননি। অবশেষে বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রের এনডিএ সরকার কৃষকদের আন্দোলনের বিরোধিতা অর্থাৎ কেন্দ্রীয় সরকার গৃহীত কৃষি আইনের সমর্থনে গোটা দেশে ১০০ সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ভারতীয় জনতা পার্টির গৃহীত এই সিদ্ধান্ত মোতাবেক মঙ্গলবার ধর্মনগরে একটি বিশাল জনসভা হয়ে গেল।
এই জনসভায় উত্তর ত্রিপুরা জেলা, ঊনকোটি জেলা ও ধলাই জেলার কৃষক ও বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা অংশ নেন। এ সভার আয়োজন করা হয়েছিল ধর্মনগর সেন্ট্রাল রোড স্থিত নেতাজি মূর্তির পাশে। তিন জেলা থেকে আগত সহস্রাধিক ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মী সমর্থকদের ভিড়ে মঙ্গলবার দুপুর ১২ টা থেকে বিকেল পর্যন্ত ধর্মনগর শহরের প্রাণকেন্দ্র ভরে উঠেছিল।ধর্মনগর কালীবাড়ি দিঘির দক্ষিণ প্রান্ত থেকে শুরু করে ধর্মনগর স্টেট ব্যাংক পর্যন্ত গোটা সেন্ট্রাল রোড মূল সড়কটি মঙ্গলবার বিজেপি কর্মী সমর্থক দের দখলে ছিল। কেন্দ্রীয় সরকার গৃহীত নয়াকৃষি আইন এর সমর্থনে ধর্মনগরে আয়োজিত এই জনসভায় উপস্থিত ছিলেন পূর্ব ত্রিপুরা আসনের সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা। রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্যা সান্তনা চাকমা।
ছিলেন রাজ্য বিধানসভার উপাধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন ছিলেন বিধায়ক ভগবান দাস সুধাংশু দাস সহ একাধিক বিধায়ক ও বিজেপি নেতৃত্বরা। এই জনসভায় সভানেত্রী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উত্তর জেলার ভারতীয় জনতা পার্টির সভানেত্রী মলিনা দেবনাথ। জনসভায় আলোচনা করতে গিয়ে সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা বলেন ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি প্রতিশ্রুতি বদ্ধ ছিল যে ক্ষমতায় আসলে ভারতবর্ষকে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে। সেই মোতাবেক বর্তমান বিজেপি পরিচালিত এনডিএ সরকার কাজ করে চলেছেন। বিগত দিনের লকডাউন এর ফলে দেশে যখন কর্ম সংস্থান স্তব্ধ হয়ে পড়েছিল তখন দেশের প্রধানমন্ত্রী আত্মনির্ভর ভারতের ডাক দিয়েছিলেন। আত্মনির্ভর ভারতের মধ্য দিয়ে দেশের শ্রমিক কৃষকদের স্বনির্ভর করে তোলার চেষ্টা চলছে।
তাই কৃষকদের স্বার্থে পুরনো কৃষি আইন কে সংশোধন করে নয়াকৃষি আইন তৈরি করা হয়েছে। মন্ত্রী সান্তনা চাকমা বিরোধীদের কটাক্ষ করে বলেন মোদি সরকারের দিনের পর দিন গ্রহণযোগ্যতা বেড়েই চলেছে। দেশের বিভিন্ন রাজ্য বিজেপির দখলে যাচ্ছে। দেশ উন্নতির পথে এগোচ্ছে ।তাই বিরোধীরা কোনরকম ইসু না পেয়ে কৃষকদের বিভ্রান্ত করতে কৃষকদের স্বার্থে তৈরি আইন কে কৃষক বিরোধী আখ্যা দিয়ে আন্দোলনে নেমেছেন। এদিকে মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভার উপাধ্যক্ষ তথা ধর্মনগরের বিধায়ক বিশ্ব বন্ধু সেন কেন্দ্রীয় সরকার গৃহীত কৃষি আইন সহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের বিস্তারিত আলোচনা করেন।
পাশাপাশি তিনি বলেন রাজ্যের বামফ্রন্ট সরকারের আমলের বিভিন্ন দুর্নীতি ইতিমধ্যে একে একে প্রকাশিত হচ্ছে। অন্যদিকে রাজ্যের বিজেপি আইপিএফটি জোট সরকার রাজ্যের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ছাত্র-যুবক ও কৃষকদের স্বার্থে অনবরত কাজ করে চলেছেন। কিন্তু দেশ ও রাজ্যের এত উন্নয়ন মূলক কাজের মধ্যেও বিজেপির কোন সাংসদ কিংবা বিধায়কদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির একটিও অভিযোগ নেই এর কারণ বিজেপি সাংসদ ও বিধায়করা যতদিন আছে ততদিন দেশের সাথে সাথেই রাজ্যেও তারা কোন দুর্নীতি সুযোগ দেবেন না।এই জনসভায় উপস্থিত প্রত্যেকে তাদের আলোচনার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকার গৃহীত কৃষি আইনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন এবং কংগ্রেস সিপিএম সহ বিরোধী দলগুলোকে বিভিন্ন বাক্যবাণে জর্জরিত করে তোলেন।এই জনসভা উপস্থিত বিজেপি কর্মী সমর্থকরা আওয়াজ তোলেন উত্তর জেলা, ঊনকোটি জেলা ,ও ধলাই জেলার সকল অংশের মানুষ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সাথে ছিলেন এখন রয়েছেন আগামীতেও থাকবেন।
0 মন্তব্যসমূহ