তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধিঃ একটা সময় এই পার্বত্য ত্রিপুরা রাজ্যের ভূমিপুত্ররা সবদিক থেকেই পিছিয়ে পড়া অবস্থায় ছিল। ত্রিপুরা রাজ্যের পরিকাঠামোগত উন্নয়নের ফলে ভূমিপুত্র তথা উপজাতি জনগোষ্ঠী অংশের লোকরাও ধীরে ধীরে নিজেদের জীবনমান উন্নত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। এমনই এক উপজাতি তথা রাংখল পরিবারের অর্থনৈতিক দিক দিয়ে সাফল্যের চিত্র ফুটে এল আমাদের লেন্স বন্দী হয়ে। পাহাড়ি রাজ্য ত্রিপুরার উপজাতি জনবসতি অঞ্চলগুলির পরিবারের একে একে সাফল্য আসতে শুরু করে একমাত্র উনাদের উদ্যম ইচ্ছাশক্তি ও শারীরিক পরিশ্রমের মাধ্যমে।
ত্রিপুরা রাজ্যের খোয়াই জেলার তেলিয়ামুড়া মহকুমার রাংখল পাড়া। সেখানেই তেলিয়ামুড়া ব্লকের সর্দুকরকরি এডিসি এলাকার জয়ধন পাড়া। পাশে বড়মুড়া পাহাড় আর এই পাহাড়ের মাটি কে কাজে লাগিয়েই মুসাম্বির চাষ করে সফল শুভলাল রাংখল। এই গ্রামেই বসবাস শুভলাল রাংখলের পরিবার। আজ থেকে প্রায় ১০ বছর আগে যখন তিনি আই টি আই কলেজে পড়াশোনা করতেন তখন থেকে কৃষি জমির উপর বিশ্বাস ছিল কৃষিতেই একমাত্র সাফল্যের চাবিকাঠি।
তাই তিনি বিভিন্ন ধরনের কৃষি কাজ শুরু করেন তখন থেকেই। আর সরকারি ভাবে পাওয়া পাট্টা ভূমিতে নিজ উদ্যোগে বেশকিছু সুস্বাদু ফল মুসাম্বির গাছ লাগান। আজ এই বাগান থেকেই মুসাম্বি বিক্রি করে ভালো পয়সা উপার্জন করেন। যা উনার সংসারের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হন।
উনার এই সাফল্যে তেলিয়ামুড়া মহকুমা কৃষি দপ্তর এবছর উনাকে এক হেক্টর জায়গার জন্য প্রায় ৪০০ মুসাম্বির চারা প্রদান করেন। চাষী শুভলাল রাংখলের আশা আগামী দিনে এই মুসাম্বির চাষ করে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে আরো এগিয়ে যাবেন যদি সঠিকভাবে কৃষি দপ্তর সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন।
0 মন্তব্যসমূহ