তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধিঃ রাজ্য সরকারের দেওয়া রেগার কাজকর্ম এবং রেশন বিপিএল কার্ড এর মাধ্যমে সংগ্রহ করা চাল দিয়ে সংসারের দিনাতিপাত।আর নিজেদের বস্ত্র পরিধান করার জন্য বাজার থেকে সূতো ক্রয় করে পাছরা তৈরি করি এমনটাই জানালেন এক উপজাতি রমণী। ঘটনা মুঙ্গিয়াকামী আর ডি ব্লকের অধীনে এবং চাকমাঘাটের অনতিদূরে রঙ্গিয়া টিলা গুচ্ছ গ্রামে।
বিগত ২০০৩ সালে বাম সরকারের উন্নয়নের প্রলোভনে প্রলুব্ধ হয়ে উপজাতি গিরি বাসীরা রঙ্গিলা টিলা গুচ্ছ গ্রামে এসে বসবাস করতে শুরু করেছিলেন, নিজেদের প্রাচীন ঐতিহ্য জুম চাষ কে ছেড়ে। ঐ সব উপজাতিরা উন্নয়নের ছোঁয়া না পেয়ে বর্তমানে তারা খুবই করুণ দশা গ্রস্থ।ঐ গুচ্ছ গ্রামে বসবাসরত উপজাতি রমনীরা বর্তমানে বাজার থেকে সূতো ক্রয় করে পাছড়া তৈরিতে ব্যস্ত।
তবে তৈরি করা পাছড়া গুলি বাজারে বিক্রি করার জন্য নয়, নিজেদের বস্ত্র পরিধান করার জন্য। এই গুচ্ছ গ্রামের বিশ্ব লক্ষী দেববর্মা আমাদের জানায়, একটি পাছড়া তৈরি করতে ২০০ টাকার সূতো ক্রয় করতে হয় বাজার থেকে। অন্যদিকে তিনি এও জানান, তৈরি করা একটি পাছড়া বাজারে বিক্রি করা যায় পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা।
এত টাকা দিয়ে বাজার থেকে পাছড়া ক্রয় করার ক্ষমতা তাদের নেই। তাই বাজার থেকে তারা ২০০ টাকার সুতো ক্রয় করে নিজেরাই পাছড়া তৈরি করে চলছে।এমনটাই চিত্র উঠে এলো আমাদের ক্যামেরায় চাকমা ঘাটের অনতিদূরে রঙ্গিয়া টিলা গুচ্ছ গ্রাম শিবির থেকে।
0 মন্তব্যসমূহ