তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধিঃ বিগত বাম সরকার আমলের শুরুতে চাকমাঘাটে চামপ্লাই গ্রামের অনতিদূরে গভীর জঙ্গলে এক অনভিপ্রেত ঘটনার জের ধরে এক উপজাতি ভদ্রলোক দীর্ঘ প্রায় ২৭ বছর ধরে পঙ্গু হয়ে নিজ গৃহের মধ্য দিয়ে দিন গুজরান করে চলছেন। উনার কপালে জুটলো না কোনো সরকারি সাহায্য-সহায়তা। তিনি পেয়েছেন কেবল বঞ্চনার গ্লানি।যা উনার মুখ থেকে শ্রবন করলে আঁতকে উঠার মতো।বঞ্চিত উপজাতি ভদ্রলোকের নাম বৃহ দেববর্মা। ঘটনা তেলিয়ামুড়া চাকমাঘাটের চামপ্লাই গ্রামে।
ঘটনা ১৯৯২ এবং ৯৩ সালের কোনো এক সময় আঠারো মুড়া পাহাড়ের গভীর জঙ্গলে খুনের ঘটনা ঘটেছিল।ঐ সময় এলাকার আরক্ষা প্রশাসনের দায়িত্বে ছিলেন তেলিয়ামুড়া থানা। তখন জঙ্গল থেকে দুটি মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘিরে পুলিশ সন্দেহে বৃহ দেববর্মাকে আটক করেছিল। অভিযোগ ঐ সময় পুলিশের মারে বৃহ দেববর্মার হাতে এবং পায়ে ইনফেকশন হয়ে গিয়েছিল। পরবর্তী সময় বৃহ দেববর্মা রাজ্যের জিবি হাসপাতালে এবং বহি রাজ্যে গিয়েও চিকিৎসা করিয়েছেন।
কিন্তু শেষরক্ষা আর হয়নি উনার একটি পা ও হাত এবং অন্য একটি পায়ের বেশ কয়েকটি আঙ্গুল কেটে ফেলে দিতে হয়। এরপর থেকে একটি পা না থাকার সুবাদে বৃহ দেববর্মা পঙ্গু হয়ে যায়। যদিও ঐ খুনের ঘটনা থেকে বৃহ দেববর্মা বেকসুর খালাস পেয়েছিল। তখন খেয়ে বেঁচে থাকার জন্য বাম সরকারের নিকট সাহায্য সহায়তা পাওয়ার জন্য কাতর আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু ঐ সময় বাম সরকারের নেতা-মন্ত্রীরা উনার আবেদনে সাড়া দেয়নি।
২৫ বছর অতিক্রান্ত হয়ে এবার রাজ্যে বিজিপি আইপিএফটি জোট সরকার গঠন হওয়ার পর ও সেই সাহায্য-সহায়তা পাওয়ার জন্য আবেদন জানান বঞ্চিত বৃহ দেববর্মা। কিন্ত রাজ্যের জোট সরকারের তিন বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পথে, বৃহ দেববর্মা আজও সাহায্য-সহায়তা থেকে বঞ্চিত। তিনি অর্থাৎ বঞ্চিত বৃহ দেববর্মা ফের একবার সাহায্য সহায়তা পাওয়ার জন্য রাজ্যের জোট সরকারের নিকট কাতর আবেদন জানান।
0 মন্তব্যসমূহ