ধর্মনগর প্রতিনিধিঃ সাংগঠনিক ভিত মজবুত করতে ধর্মনগর ছুটে এলেন ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পীযূষ কান্তি বিশ্বাস। শুক্রবার তিনি ঊনকোটি জেলার কৈলাসহরে এবং উত্তর জেলার ধর্মনগরে কংগ্রেসের সাংগঠনিক আলোচনা-পর্যালোচনা জন্য জেলার কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদের নিয়ে কংগ্রেস ভবনের সভা করলেন। সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পীযূষ কান্তি বিশ্বাস জানান মূলত আসন্ন পুর পরিষদ ও এডিসি নির্বাচনকে সামনে রেখেই আজকের সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ রাজ্যের মানুষ ২৫ বছরের বামেদের অপশাসন থেকে মুক্তি পেতে বিজেপি-আইপিএফটি জোটকে রাজ্যশাসনের দায়ভার দিয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমান বিজেপি পরিচালিত শাসক দল এ রাজ্যের সাধারণ মানুষের চাহিদা পূরণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ।
ফলে বিকল্প হিসেবে রাজ্যের মানুষ আগামী দিন কংগ্রেসকেই বেছে নিতে চাইছে। তাই এই সভার মধ্যে থেকে আগামী দিন রাজ্যের স্বার্থে বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের জন্য বেশ কয়েকটি পৃথক পৃথক টিম তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি টিম সাধারণ মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়াবে এই আশা ব্যক্ত করেন তিনি। তিনি জানান রাজ্যের বিজেপি সরকার যেমন মানুষের সাথে প্রতিশ্রুতি পালনে বিশ্বাস ঘাতকতা করেছে তেমনি দেশের বিজেপি চালিত এনডিএ সরকার প্রতিনিয়ত মানুষের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে চলেছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের নোট বন্দি জিএসটি সহ একাধিক প্রকল্প দেশের অর্থনীতিকে মন্দার দিকে ঠেলে দিয়েছে। বর্তমানে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার ব্যক্তিগত লাভের জন্য শিল্পপতিদের মুনাফার কথা চিন্তা করে কৃষি আইনে সংশোধনী এনে কৃষকদের বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছে। কিন্তু গোটা দেশের সাথে রাজ্যেও কংগ্রেস কৃষকদের স্বার্থে সাধারণ মানুষের স্বার্থে প্রতিনিয়ত আন্দোলন করে চলেছে।
তাই রাজ্যে আগামী নির্বাচনগুলোতে কংগ্রেসের বিজয় নিশ্চিত। ২০২৩ সালে রাজ্য বিধানসভায় কংগ্রেসের সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার লক্ষ্য নিয়েই কংগ্রেস এখন থেকে কাজ শুরু করেছে বলে তিনি জানান। শুক্রবার সন্ধ্যায় ধর্মনগর কংগ্রেস ভবনে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে পীযূষ বিশ্বাসের সাথে উপস্থিত ছিলেন উত্তর জেলা কংগ্রেস সভাপতি অজিত দাস ছিলেন কংগ্রেস নেতৃত্ব কেবল কান্তি নন্দী ,ইন্দ্রজিৎ পাল, পরিমল চক্রবর্তী, নিরুপম দে প্রমুখ।
0 মন্তব্যসমূহ