দূর্গোৎসবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছাড় দিতে শিল্পীদের ডেপুটেশন - Sabuj Tripura News

সবুজ ত্রিপুরা
১৭ অক্টোবর ২০২০ 
শনিবার    

ধর্মনগর প্রতিনিধিঃ করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় লকডাউন এর ফলে ভয়ঙ্কর আর্থিক সংকটে গোটা রাজ্যের শিল্পী সাংস্কৃতিক মহল। রাজ্যের বহু শিল্পী রয়েছেন যারা আর্থিকভাবে সম্পূর্ণ তাদের শিল্পের উপর নির্ভরশীল। বহু সংগীতশিল্পী নৃত্যশিল্পী বাদ্যযন্ত্র শিল্পীরা রয়েছে যাদের সংসার প্রতিপালনের একমাত্র মাধ্যম তাদের শিল্প চর্চা। কিন্তু বিগত প্রায় ছয় মাস যাবত গোটা দেশের সাথে আমাদের রাজ্যে লকডাউন এর ফলে বিশেষত করোনা থেকে সকলকে রক্ষা করতেই সরকার সাংস্কৃতিক চর্চা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রেখেছে। এর ফলে বহুদিন যাবত বেসরকারি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র তথা নাচ গান তবলা সহ বিভিন্ন সংস্কৃতিক বিদ্যালয় গুলো বন্ধ হয়ে রয়েছে। 


এতে ব্যাপক আর্থিক সংকট দেখা দিয়েছে ঐ সকল কেন্দ্রের নিয়োজিত সাংস্কৃতিক শিক্ষকদের। এছাড়াও লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে  সরকার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের কোন অনুমতি দেননি। এর ফলে বহু সংগীতশিল্পী বাদ্যযন্ত্র শিল্পী রয়েছেন যাদের একমাত্র উপার্জনের পথ এই সাংস্কৃতিক চর্চা। আজ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নিষেধাজ্ঞা থাকায় তারা আজ বিপন্ন। সামনেই দুর্গোৎসব আসতে চলেছে প্রতিবছরই দুর্গোৎসব কে কেন্দ্র করে গোটা রাজ্যের প্রতিটি গ্রাম-শহরের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আসর বসে। 


এতে ছোট-বড় বহুসাংস্কৃতিক শিল্পীরা অংশ নিয়ে অর্থ উপার্জন করেন। কিন্তু এবছর সরকারকর্তৃক দুর্গোৎসবের নিয়মাবলীর মধ্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ছাড় মিলেনি। এর ফলে শিল্পীদের মনে দেখা দিয়েছে ব্যাপক হতাশা। এই হতাশা দূরীকরণে  বৃহস্পতিবার ধর্মনগরের বেশকিছু প্রবীণ সাংস্কৃতিক কর্মীরা উত্তর জেলার জেলাশাসকের নিকট দুর্গোৎসবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করার অনুমতি চেয়ে একটি স্মারক লিপি পেশ করলেন। যদিও বৃহস্পতিবার উত্তর জেলার জেলাশাসক অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সভায় ব্যস্ত থাকায় তারা সরাসরি জেলাশাসকের নিকট স্মারকলিপিটি তুলে দিতে পারেননি। 


তবে তারা জানিয়েছেন বর্তমানে গোটা রাজ্যে প্রায় সব কিছুতেই ছাড় দিলেও আসন্ন দূর্গোৎসবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের কোন রকম ছাড় দেওয়া হয়নি। এতে ব্যাপক আর্থিক টানাপোড়েন দেখা দিয়েছে শিল্পীদের। হাট-বাজার পুজোর প্যান্ডেল সবকিছু খোলা রয়েছে কিন্তু সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বন্ধ। তাই সরকার যেন শিল্পীদের কথা চিন্তা করে আগামী দুর্গোৎসবে বিভিন্ন বিধি নিষেধের মধ্য দিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের অনুমতি চাওয়া হয় স্মারকলিপিতে। বৃহস্পতিবার এই শিল্পীদের স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী সংগঠক হিল্লোল দেবনাথ ও অভিজিৎ কর্মকার।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu