মহামারীর ফলে মৃৎ শিল্পীদের ব্যবসায় ক্ষতির কারনে সংসার প্রতিপালনে ব্যাঘাত - Sabuj Tripura News

সবুজ ত্রিপুরা
০২ সেপ্টেম্বর ২০২০
বুধবার    

তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধিঃ মহাভারত অনুযায়ী বিশ্বকর্মা হলেন শিল্প কলার দেবতা, সকল প্রকার প্রাসাদ ও অলংকারের নির্মাতা। তাই বিশ্বকর্মাকে দেব শিল্পী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। কিন্তু বর্তমানে চলছে মহামারী করোনার চরম দাপট, সেই সাথে বাঙালির উৎসব গুলি যেন ধীরে ধীরে ফিকে পড়ে যাচ্ছে। তেলিয়ামুড়া শহরের মৃৎশিল্পীদের ও নেই আগের মতন উৎসাহ। কারণ বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের একমাত্র উৎস গুলি যেন ধীরে ধীরে বন্ধের পথে। আসছে দেবশিল্পী বিশ্বকর্মা পুজা, অন্যান্য বছরের মতো মৃৎশিল্পীরা তেমন ভাবে না হলেও ব্যস্ত মূর্তি তৈরিতে। 


এমনই এক চিত্র ফুটে এলো আমাদের ক্যামেরা লেন্স। আসছে দেবশিল্পী বিশ্বকর্মা পুজো, একদিকে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি। অন্যদিকে করোনা আবহে নেই মানুষের কাছে টাকা পয়সা। যদিও নিয়ম রক্ষার তাগিদে কিছু কিছু পরিবার বা সংস্থা বিশ্বকর্মা পুজোয় ব্রতী হবে। সে কারণে বসে নেই তেলিয়ামুড়ার মৃৎ শিল্পীরা। বিশ্বকর্মা তৈরির কাজ প্রায় শেষের পথে। 


এ ব্যাপারে তেলিয়ামুড়া একজন মৃৎশিল্পী নরেশ পাল জানান বর্তমান করোনা আবহে উনাদের বিশাল ক্ষতি হয়ে গেছে, শুধু তাই নয় বর্তমানে সংসার প্রতিপালন করাও মুশকিল হয়ে গেছে, তিনি আরো বলেন প্রতি বছর বৈশাখ মাস থেকে বাঙালির বিভিন্ন প্রতিমা তৈরি হতো।‌ কিন্তু অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর করোনা মহামারীর কারণে ২০% ও প্রতিমা তৈরি হচ্ছে না। বিশ্বকর্মা পুজো এবছর তেমনভাবে একটা জাকজমক পূর্ণ না হলেও নিয়ম রক্ষার তাগিদে হবে স্বল্প পরিসরে। পুজো বেশি হচ্ছে না, তাই তাদের আয়ের  উৎস ও কমে গেছে। 


অন্যদিকে আরেক মৃৎশিল্পী শ্যামল পাল জানান যে অন্যান্য বছর আমরা যে মূর্তি তৈরি করতাম তার অর্ধেক এরও কম মূর্তি তৈরি করছি এবছর। কিন্তু এতে করে আমাদের সংসারের ভরণ পোষণ করা সম্ভবপর নয়। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর রুজি রোজগার কমে যাওয়ায় মৃৎ শিল্পীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। কিভাবে কি করে পরিবারের ভরণ পোষণ করবে সেই দুশ্চিন্তায় কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে মৃৎ শিল্পীদের।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu