চুরাইবাড়ি প্রতিনিধিঃ আজ উত্তরের কদমতলা কৃষি মহাকুমার উদ্যোগে প্রত্যেকরায় গ্রাম পঞ্চায়েতের ইছাই জয়পুর এলাকায় "ফার্মার্স ফিল্ড ডে" অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উত্তর জেলার জেলা সভাধিপতি ভবতোষ দাস, কৃষি উপ অধিকর্তা স্বপন কুমার সিনহা, কৃষি তত্ত্বাবধায়ক সরদিন্দু নারায়ন দত্ত, প্রত্যেকরায় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রমুখ। করোনা ভাইরাস মহামারীর সম্পূর্ণ সরকারি নির্দেশিকা মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আজকের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
প্রত্যেকরায় গ্রাম পঞ্চায়েতের ইছাই জয়পুর এলাকার নির্বাচিত ১৩ জন কৃষকদের ৬ হেক্টর কৃষিজমিতে প্রথমবারের মতো হাকু চুক-২ ধানের চাষ করা হয়। মূলত হাকু চুক-২ ধানের চাষ এইবার প্রথমবারের মতো কৃষকদের দিয়ে চাষ করানো হলো। হাকু চুক-২ ধানের চাষ করে ফলন ভালো পেয়ে বেজায় খুশি স্থানীয় কৃষকরা।
তবে স্থানীয় কৃষকদের অভিমত,সঠিক সময়ে সার বীজ ও কীটনাশক ঔষধ সরকার তরফ থেকে পাওয়া গেলে কৃষি ফলনে ফসল উৎপাদন দ্বিগুণ পেয়ে অনেকটাই স্বাবলম্বী হতে পারবেন। এদিকে কৃষি তত্ত্বাবধায়ক সরদিন্দু নারায়ণ দত্ত বলেন, কদমতলা কৃষি মহাকুমার আওতাধীন ২/৩ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে প্রথমবারের মতো হাকু চুক-২ ধানের চাষ করা হয়। তারমধ্যে পত্যেকরায় গ্রাম পঞ্চায়েতের আওতাধীন ৬ হেক্টর জমিতে হাকু চুক-২ ধানের চাষ করে বেশ সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন স্থানীয় ১৩ জন কৃষক।
কৃষি তত্ত্বাবধায়ক আরো জানান, উৎপাদিত ফসল গুলি পরীক্ষার মাধ্যমে সরকার সঠিক মূল্য দিয়ে কৃষকের কাছ থেকে কিনে নেবে। তারপর পুনরায় গোটা রাজ্যের কৃষকদের কাছে ওই ধানের বীজ সরকারি মূল্যে বিতরণ করা হবে।এককথায় গোটা রাজ্যের কৃষকদের হাকু চুক-২ ধান চাষে স্বনির্ভর করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েই রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগ।
0 মন্তব্যসমূহ