জনবহুল এলাকায় পাথর ভাঙ্গার ক্রেশার মেশিন বসানোর প্রতিবাদে এলাকাবাসীর পথ অবরোধ - Sabuj Tripura News

সবুজ ত্রিপুরা
২৪ আগষ্ট ২০২০
সোমবার

চুরাইবাড়ি প্রতিনিধিঃ উত্তর জেলার কালাছড়া ব্লকাধীন লক্ষীনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪ নং ওয়ার্ডের খেরেংজুরি এলাকায় পাথর ভাঙ্গার ক্রেশার মেশিন বসানো নিয়ে বিগত কয়েক মাস যাবত চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছিল। পাথর ভাঙ্গার ক্রেশার মেশিনের বিকট শব্দ, ধুলোবালি, রাস্তাঘাট বিনষ্ট সহ পথদুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ১১ জুলাই খেরেংজুরি এলাকার স্থানীয় জনগণ  ওই এলাকায় ক্রেশার মেশিন বন্ধের দাবিতে লিখিত ভাবে ধর্মনগর মহকুমা আধিকারিক,কালাছড়া ব্লকের ভিডিও ও লক্ষীনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে জানিয়ে ছিলেন। কিন্তু আজ এক মাসেরও অধিক সময় অতিক্রান্ত।ঐ এলাকায় ক্রেশার মেশিন বন্ধ করা তো দূরের কথা নতুন করে আরও দুটি ক্রেশার মেশিন বসানোর প্রস্তুতি চলছে। 


অবশেষে গতকাল নিরুপায় হয়ে খেরেংজুড়ি এলাকার জনগণ একত্রিত ভাবে ৮ নং আসাম আগরতলা জাতীয় সড়ক সংযোগি খেরেংজুরি-ধর্মনগর ভায়া লক্ষীনগর সড়কটি অবরোধ করে বসেন। সকাল ৯ টা থেকে স্থানীয়রা অবরোধ করলেও দুপুর পর্যন্ত স্থানীয় চুরাইবাড়ি থানার পুলিশ ও প্রশাসনিক আধিকারিক ঘটনাস্থলে আসেননি। দীর্ঘ সাড়ে তিন থেকে চার ঘণ্টা পর চুড়াইবাড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে অবরোধকারী জনতার সাথে আলোচনায় বসলে কোনো সুরাহা দিতে পারেনি পুলিশ প্রশাসন। স্থানীয় পথ অবরোধকারীদের অভিযোগ, লক্ষীনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের খেরেংজুড়ি এলাকাটি জনবহুল এলাকা। 


ওই এলাকায় কিছুদিন পূর্বে ৪ টি পাথর ভাঙার ক্রেশার মেশিন বসানোর ফলে স্থানীয়দের জীবনযাপন দুষ্কার্য হয়ে পড়েছে। মেশিনের বিকট শব্দ রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে এবং ধুলোবালির কারণে ঘর ছাড়ার উপক্রম স্থানীয়দের। তাছাড়া ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া লাটে উঠেছে। ঠিকমতো স্কুল ও টিউশনে যেতে পারছেনা ছোট ছোট ছাত্র-ছাত্রীরা। কেননা ঐসকল ক্রেশার মেশিনে পাথরের গাড়ি আসা যাওয়াতে রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পরাতে অনেক দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে, এমনটা স্থানীয়দের অভিযোগ। স্থানীয়রা আরো অভিযোগ করে বলেন, উনাদের জানা মতো জনবহুল এলাকায় এ সকল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পাথর ভাঙ্গার ক্রেশার মেশিন বসানো বৈধ নয়। তাছাড়া মেশিন বসানো হলে পলিউশন সার্টিফিকেটের প্রয়োজন রয়েছে। তবে কি করে সংশ্লিষ্ট দপ্তর জনবহুল এলাকাতে পাথর ভাঙ্গার ক্রেশার মেশিন বসানোর পারমিশন দিলেন তানিয় একগুচ্ছ অভিযোগ করেন পথ অবরোধকারী স্থানীয় জনগণ। 


পথ অবরোধ কারীদের বক্তব্য,যতক্ষণ পর্যন্ত উনাদের সমস্যা নিরসন না হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত উনাদের পথ অবরোধ চলবে।অবশেষে অবস্থা বেগতিক দেখে অবরোধ স্থলে ছুটে আসেন ধর্মনগর মহাকুমার ডিসিএম। উনি ঘটনাস্থলে এসে অবরোধকারী জনগণের কাছ থেকে সবিস্তারে উনাদের বক্তব্য শুনে এক সপ্তাহের সময় চেয়ে নেন। এক সপ্তাহের ভিতরে উনি এ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা ক্রমে সু ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করলে উত্তেজিত অবরোধকারী জনতা উনার আশ্বাসে আশ্বস্ত হয়ে পথ অবরোধ প্রত্যাহার করেন। তবে দীর্ঘ ৪/৫ ঘন্টা পথ অবরোধের ফলে কিছুটা যাত্রী ও যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। পাশাপাশি এখন দেখার বিষয় খেরেংজুড়ি গ্রামের সাধারণ জনগণের সমস্যা নিরসনে কতটুকু তৎপর হয় প্রশাসন।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu