তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধিঃ দিন আনি দিন খাই নেই রেশন কার্ড ,রেগার জব কার্ড, তাদের কপালে জুটল না সরকারি ঘর সহ বিশুদ্ধ পানীয় জল। জঙ্গল থেকে লাকড়ি সংগ্রহ করে তা বাজারে বিক্রি করে দিনাতিপাত করতে হয় নিত্যদিন। আর সন্তানদের পাঠ্যপুস্তক দিয়ে পঠনপাঠন তো দুরস্ত। এমনই এক দিন দরিদ্র পরিবারটির অবস্থান তেলিয়ামুড়া মহকুমা শাসকের কার্যালয় থেকে অনতিদূরে জারাইলং পাড়া এলাকায়। ভোট আশে ভোট যায় তাদের ভাগ্যের চাকা একই তিমিরে।
তেলিয়ামুড়া জারাইলং পাড়াতে বছর পাঁচেক ধরে বসবাস করছিলেন পূর্ণ কুমার জমাতিয়া। স্ত্রী-কন্যা নিয়ে চার (৪)জনের সংসার। গৃহকর্তা পূর্ণ কুমার জমাতিয়া রেশন কার্ড ,রেগার জব কার্ড, সরকারি ঘর পাওয়ার জন্য নেতাদের থেকে শুরু করে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোনো কিছুই জুটেনি উনার ভাগ্যে। পূর্ণকুমার জমাতিয়া জঙ্গল থেকে লাকড়ি সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করে যে টাকা সংগ্রহ করে তা দিয়ে সংসার প্রতিপালন করতে হয় তাদের।
আর শিশু সুলভ কন্যা সন্তান জঙ্গল থেকে বন্য পাতা - লতা সংগ্রহ করে সব্জির চাহিদা মেটাচ্ছে বাবা পূর্ণ কুমার দেববর্মার সংসারে। নিত্যদিনের সংসারের বর্ণনা দিতে গিয়ে গৃহকর্ত্রী সুনিতা দেববর্মা বারংবার কেঁদে যাচ্ছিলেন। অথচ পূর্ণ কুমার জমাতিয়ার বাড়ি থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে চাকমাঘাটে তেলিয়ামুড়া মহকুমা শাসকের কার্যালয়। করোনা অতিমারির সময় কালেও পূর্ণ কুমার জমাতিয়ার পরিবারটি কোন ধরনের সরকারি সাহায্য সহযোগিতা পায়নি বলে অভিযোগ।আবার ঐদিন দরিদ্র উপজাতি পরিবারটির নেই রেশন কার্ড, নেই রেগার জব কার্ড, নেই সরকারি ঘর, নেই বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা।
পূর্ণ কুমার জমাতিয়ার পরিবারটি বর্তমান রাজ্য সরকারের কাছে সাহায্য সহযোগিতার জন্য প্রার্থনা করছে। তাছাড়া পূর্ণ কুমার জমাতিয়ার পরিবারটি যে বসত ঘরে বসবাস করে সেই বসত ঘরটির অবস্থা এতটাই করুন যে দিনের বেলায় ঘরের উপরের দিকে তাকালে সূর্যের আলো দেখা যায়, তাছাড়া বর্ষাকালে ঘরের ভেতর ছাতা মাথায় বসে থাকতে হয় পূর্ণ কুমারের পুরো পরিবারকে।
1 মন্তব্যসমূহ
শিরোনামে অন্ততপক্ষে দুবার ক্ষমা(,) পড়া উচিত ছিল। দীর্ঘ ইন্ট্রো তে যাকে নিয়ে কথা হচ্ছে তার নাম নেই। শিশুসুলভ আচরণ হয় কিন্তু বয়সের ক্ষেত্রে শিশুসুলভ কথাটি অত্যন্ত বেমানান, কারণ আমাদের বয়স শিশু, কিশোর, যুবক অথবা বৃদ্ধ হয়ে থাকে, এটা স্থির।
উত্তরমুছুন