বিগত একমাস ধরে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র বন্ধ থাকায় স্বাস্থ্যপরিসেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী - Sabuj Tripura News

সবুজ ত্রিপুরা
০১ সেপ্টেম্বর ২০২০
মঙ্গলবার  

তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধিঃ মহামারী করোনা প্রকোপ কালেও যখন স্বাস্থ্য বিভাগ গুলি থাকে বন্ধ তখন গ্রাম কিংবা শহর নয় প্রত্যন্ত অঞ্চলেও জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। যদিও শহরের ক্ষেত্রে অনেকটাই আলাদা পর্যাপ্ত পরিমাণ স্বাস্থ্য বিভাগ থাকায় এবং যোগাযোগ মাধ্যম গুলি ও পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকায় স্বাস্থ্যপরিসেবা পেতে বেগ পেতে হয়না জনগণকে। আর উল্টো দিকে যদি হয় প্রত্যন্ত অঞ্চল তাহলে তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না, যে স্বাস্থ্যপরিসেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে ধীরে ধীরে মৃত্যুর মুখে এগিয়ে যাওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই সাধারণ অংশের লোকদের। 


এমনই এক প্রত্যন্ত অঞ্চলের জলজ্যান্ত চিত্র ফুটে উঠে এলো আমাদের লেন্স বন্দী হয়ে। তেলিয়ামুড়া মহকুমার মুঙ্গিয়াকামি স্বাস্থ্য দপ্তরের অধীনে নুনাছড়া এডিসি ভিলেজের প্রজা বাহাদুর মলসোমপাড়া। এখানে একটি সুসজ্জিত হেলথ সাব সেন্টার রয়েছে বটে কিন্তু এলাকাবাসীর অভিযোগ বর্তমানে করোনা প্রকোপ কালেও প্রায় এক মাস ধরে বন্ধ এই সাব সেন্টারটি। 


অথচ উল্টোদিকে এই পাড়ার শিশু থেকে বয়স্ক অনেকেরই বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে যেমন সর্দি জ্বর কাশি ইত্যাদি নিয়ে ঘরে বসেই বিনা চিকিৎসায় দিন গুজরান করতে হচ্ছে। এক এলাকাবাসী আরো জানায় নুনাছড়া থেকে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে আসতে প্রায় ১০০০ টাকা গাড়ি ভাড়া লাগে। এমনিতেই জনজীবন বিপন্ন নেই কাজ ,নেই খাদ্য পাহাড়ে একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে ও যখন স্বাস্থ্য পরিষেবার আওতায় আসতে পারছেনা জনগণ তখন সেটা থেকে লাভ কি? যদিও প্রতি সপ্তাহে তিন দিন অর্থাৎ  সোমবার বুধবার ও শুক্রবার এই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি সম্পূর্ণ খোলা থাকার কথা সকাল আটটা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত। 


কিন্তু একমাস ধরে কোনো স্বাস্থ্যকর্মীর দেখা নেই এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। অথচ বিভিন্ন রোগের উপসর্গ নিয়ে বিনাচিকিৎসায় ঘরে থেকেই মৃত্যুর প্রহর গুনছে এলাকাবাসীরা।এবার দেখার বিষয় খবর সম্প্রচারের পর স্বাস্থ্য আধিকারিকদের শীত ঘুম ভাঙবে কিনা।




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu