মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে মারপিটে শেষ পর্যন্ত মৃত্যু হল একজনের - Sabuj Tripura News

সবুজ ত্রিপুরা
০১ সেপ্টেম্বর ২০২০
মঙ্গলবার  

চুরাইবাড়ি প্রতিনিধিঃ উত্তর জেলার চুরাইবাড়ি থানাধীন পূর্ব ফুলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মজির উদ্দিন পিতা মশরফ আলীর জায়গার উপর একটি ছোট ছড়াতে পাশের বাড়ির আব্দুল নুরের ছেলে সুজেল উদ্দিন মাছ ধরতে এসেছিলো। তখন জায়গার মালিক মজির উদ্দিন, স্ত্রী আয়াতুন নেছা ও ছেলে আব্বাস উদ্দীন একত্রিত ভাবে দা ও লাঠি দিয়ে ঐ যুবকের উপর আক্রমণ চালায়। সুজেলের চিৎকার চেঁচামেচি শুনে তার পরিবারের লোকজন বেরিয়ে ঘটনাস্থলে আসলে তাদের উপর চড়াও হয় মজির উদ্দিন তার ছেলে ও স্ত্রী। তাদের দা ও লাঠির আঘাতে গুরুতর আহত হন আব্দুল নুর, নুরুল হক, রেশমা বেগম, শুক্কুরজান বিবি ও সুজেল হোসেন (১১) বলে তাদের অভিযোগ। 


তবে অল্পবিস্তর আহত হয় জায়গার মালিক মজির উদ্দিন তার স্ত্রী ও পুত্র। ঘটনার খবর পেয়ে অকুস্থলে চুরাইবাড়ি থানার পুলিশ ছুটে এসে গুরুতরভাবে আহত উভয়পক্ষের ৮ জন পুরুষ মহিলা ও শিশুকে উদ্ধার করে কদমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক সকলের অবস্থা গুরুতর দেখে ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে রেফার করেন। তাদের মধ্যে সুজেল হোসেনের কাকা নুরুল হকের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে আগরতলা জিবি হাসপাতালে রেফার করা হয়। 


তড়িঘড়ি নুরুল হকের আত্নীয় পরিজনরা তাকে আগরতলা জিবি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কালরাতেই জিবি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।পাশাপাশি এই ঘটনাটি সংঘটিত হওয়ার পর চুড়াইবাড়ি থানার পুলিশ ২১ নম্বরের ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৬/৩০৭/৩৪  ধারায় একটি মামলা রুজু করে দা ও লাঠি দিয়ে আক্রমনকারী অভিযুক্ত মজির উদ্দিন (৪৮), স্ত্রী আয়াতুন নেছা(৩৮) ও ছেলে আব্বাস উদ্দিনকে (১৮) গ্রেপ্তার করে। 


এদিকে চুড়াইবাড়ি থানার ওসি জয়ন্ত দাস জানান,ধৃত মজির উদ্দিন তার স্ত্রী ও ছেলেকে আজ ধর্মনগর জেলা আদালতে প্রেরণ করেছে চুরাইবাড়ি থানার পুলিশ। পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকে হামলায় ব্যবহৃত কিছু  সামগ্রী উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ বলে ওসি জানান। 



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu