ধর্মনগর প্রতিনিধিঃ ধর্মনগরের জেলা সংশোধনাগারের কয়েক জন দাগি আসামির দাদাগিরিতে অতিষ্ঠ অধিকাংশ জেল হেফাজতের আসামিরা। অথচ জেলার থেকে শুরু করে অন্যান্য পুলিশকর্মীরা জনাকয়েক আসামিদের তাণ্ডব দমনে ব্যর্থ। ফলে সে সকল আসামিদের দাদাগিরি দিনকেদিন বেড়েই চলছে। এতে জেলের ভেতরের অধিকাংশ আসামিদের জীবন সংকটময়। শুক্রবার উত্তর জেলার পানিসাগরের বাসিন্দা কার্তিক দাস নামে এক আসামি আরেক আসামির দাদাগিরিতে অসহ্য হয়ে জেলের ভেতরেই ফাঁসিতে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
যদিও অল্পতে প্রাণে বেঁচে গেলেও বর্তমানে ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে। আসামি কার্তিক দাস জানিয়েছেন দীর্ঘ বহুদিন যাবত জেলের ভেতরেই এক দাগি আসামি তাকে অকারণেই মারামারি করত। সে এই বিষয়ে একাধিক বার জেলার সাহেবকে বলেছে কার্তিক। কিন্তু জেলার সাহেব কোনই পদক্ষেপ নেয়নি। এরি মধ্যে ঐ আক্রমণকারী দাগি আসামির কোভিড পজিটিভ হওয়ায় সে পানিসাগর কোভিড কেয়ার সেন্টারে চলেযান। বৃহস্পতিবার সকালে সে কোভিড কেয়ার সেন্টার থেকে চিকিৎসা সেরে পুনরায় ধর্মনগর জেলে এসে রাতেই আবার কার্তিক দাসের উপর চড়াও হয়।
কার্তিক দাস জানিয়েছে রাতে স্নানের মগদিয়ে বেদম প্রহার করে। রাতেই সে অসুস্থ হয়ে আক্রমনের কথা সে আবার জেলারকে জানায় কিন্তু জেলার কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় সে শুক্রবার দুপুরে স্নানের পরে নিজের গামছা দিয়ে জেলের ভেতরেই ফাঁসিতে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে।
এদিকে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মী সঙ্গে সঙ্গে দেখে কার্তিককে ফাঁসি থেকে নামিয়ে ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে। বর্তমানে তার ধর্মনগর হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। জানা গেছে ধর্মনগরের সংশোধনাগারে প্রতিনিয়তই হাতে গোনা কয়েকজন দাগি আসামীমিলে একাংশ নিরীহ আসামিকে অকারণেই মারধর করে ।
পাশাপাশি জেলের ভেতর বহু অনৈতিক কার্যকলাপ চলছে। সে সব বিষয়ে জেলার থেকে শুরু করে অন্যান্য দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মীরা সব জেনেও চুপ। তবে কি এইসব অনৈতিক কাজকর্মে জেলার সাহেবও জড়িত রয়েছেন। চারিদিকে এই প্রশ্নটাই উঠছে। এখন এটাই দেখার আজকের এই ঘটনার পরে প্রশাসন কি ভূমিকা নেয়। আজ যদি কার্তিক দাসের মৃত্যু হতো তবে তার উপর আক্রমণের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতো না। সকলেই একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুই ধরে নিতেন। এখন যেহেতু ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে এবার প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখবেন বলেই ধারণা।
0 মন্তব্যসমূহ