তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধিঃ মরদেহ নিয়ে বাড়িতে সৎকারের মানুষ নেই, ভয় ও আশংকা মৃতব্যক্তি করোনা পজিটিভ হয়ে মারা গেছেন। শেষ পর্যন্ত পুরপরিষদ ও মহকুমা হাসপাতালের তৎপরতায় মৃত দেহ টেস্ট করানোর পর সৎকারের ব্যবস্থা করা হবে। ঘটনার বিবরণে জানা যায় তেলিয়ামুড়া থানাধীন করইলং এলাকার নিবাসী মৃত উমেশ চন্দ্র সাহার ছেলে মৃনাল কান্তি সাহা (পান্না)(৪৪), শুক্রবার রাতে কোন এক সময় মারাযান এবং সকালে খবর এলাকায় চাউর হতেই বাদে বিপত্তি।
এলাকাবাসী সুত্রে খবর মৃতব্যক্তি গত ১০-১২ দিন ধরে জ্বর সর্দি কাশি সহ শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে ভুগছিলেন। অথচ কোনও ডাক্তারের কাছেও যাননি এবং পরিবারের লোকজন অসুস্থ ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন টুকুও মনে করেননি। ফলে এলাকাবাসীর আশঙ্কা মৃত ব্যক্তি করোনা পজিটিভের কারনে মারা গেছেন বলে খবর দেওয়া হয় তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে এবং খবর যায় তেলিয়ামুড়া পুরপরিষদে।
খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক সহ তেলিয়ামুড়া পৌর পরিষদের পৌর পিতা ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। জানা যায় মরদেহ থেকে করোনা টেস্টের জন্য নমুনা রেখে সৎকারে পাঠানো হবে। অন্যদিকে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও টেস্ট করানো হবে বলে জানা যায়। এখন এলাকাবাসী সহ পৌর পিতার প্রশ্ন হল বিগত দিনে সরকারের তরফ থেকে বাড়ি বাড়ি স্বাস্থ্য কর্মী ও আশা কর্মী দের যে করানো সার্ভে করানো হয়েছিল তখন মৃতব্যক্তি কেন তথ্য গোপন করলেন এবং পরিবারের সদস্যইরা কেন তা জানালেননা।
অন্যদিকে মৃত ব্যক্তির বড় ভাই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অনেকটাই শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপকৌশল চালাতে থাকেন তিনি বলেন যে যখন বাড়ি বাড়ি আশা কর্মী ও সার্ভে টিম সার্ভে করতে এসেছিল তখন উনার ছোট ভাইয়ের শরীরে কোন প্রকার উপসর্গ ছিলনা। তাছাড়া বলা যায় যদি মৃতব্যক্তির করোনা পজিটিভ হয় তবে ওনার সংস্পর্শে আশা সাধারণ মানুষজনকে সনাক্ত করা যাবে কিনা এনিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য বিরাজ করছে। তবে জানা যায় তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে মৃত ব্যক্তিকে নিয়ে গেলে উনার শরীরে পাওয়া গেছে করোনার জীবাণু আর সেই কারণেই মারা গেছেন তিনি। এমনই জানিয়েছেন ওই মৃত ব্যক্তির নিকট আত্মীয়। জানা যায় ওই ব্যক্তির সৎকার করা হবে আগরতলায়। বর্তমানে ওই ব্যক্তিকে আগরতলায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
0 মন্তব্যসমূহ