বক্সনগর প্রতিনিধিঃ ঘটনা কলমচৌড়া থানাধীন ভেলুয়ারচর গ্রামে। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, রানির বাজার এলাকার যুবক রাজিব লস্করের সাথে বক্সনগরের ভেলুয়ারচর এলাকার গীতা লস্করের গত ১০ বছর আগে সামাজিক ভাবে বিয়ে হয়। বর্তমানে তাদের একটি ছেলে ও একটি মেয়ে রয়েছে। কিন্তু বিয়ের পরে বেশ কিছুদিন ধরে গীতা লস্করের সাথে তার বাবার বাড়ির গ্রামের এক যুবক শিপন দাসের সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠে বলে জানা গেছে।
তাদের এই অবৈধ সম্পর্কের বিষয়টি শ্বশুরবাড়ির লোকজন সহ এলাকায় জানাজানি হতেই গ্রামের মধ্যে সালিশি সভা করা হয় এবং এই সালিশী সভার মাধ্যমে ঘটনা নিষ্পত্তি হয়। ফলে বেশ কয়েক বছর ধরে তাদের সংসারের মধ্যে কোনো রকম ঝামেলা ছিলনা। এরই মধ্যে গত দুই থেকে আড়াই মাস ধরে ফের সেই ঘটনার উত্থান শুরু হলে মেয়ের স্বামী রাজিব লস্কর তার স্ত্রীকে বুঝানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়।
এক পর্যায়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে রাজীবের স্ত্রী গীতা লস্কর। ফলে স্বামীর বাড়ি ছেড়ে গীতা তার ভেলুয়ারচর স্থিত নিজ বাবার বাড়িতে চলে যায়। কিন্তু স্ত্রীর এমন ভাবে চলে যাওয়ার ঘটনায়, অপমানে রাজিব রাতে বেশ কয়েকটি ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। কিন্তু রাগের বশে অত্যাধিক ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে বেশ কয়েকদিন আগরতলা জিবি হাসপাতাল চিকিৎসারত অবস্থায় থাকতে হয় স্বামী রাজীবকে। পরবর্তীতে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে গত ২রা আগষ্ট সে সোজা চলে যায় ভেলুয়ারচর স্থিত তার শশুর বাড়িতে অর্থাৎ তার স্ত্রীর কাছে। কিন্তু কয়েকদিন শ্বশুরবাড়িতে থাকার পর গত ১৯ শে আগষ্ট রাজীবের শ্বশুরবাড়ি থেকে খবর আসে রাজীবকে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
অনেক খোঁজাখুঁজি করার পরেও তাকে না পেয়ে ছেলের বাড়ি থেকে বক্সনগরের কলমচৌড়া থানা এবং রানির বাজার থানাতে মিসিং ডায়েরি করা হয়। কিন্তু আজ ১২ দিন অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও রাজীবের কোন প্রকার খোঁজ না মেলায়, রাজীবের পরিবারের মধ্যে সন্দেহ বাড়তে থাকে। এদিকে রাজীবের পরিবারের তরফে দাবি করা হয়, রাজীবকে তার স্ত্রী গীতা লস্কর এবং শিপন দাস মিলে খুন করেছে। অপরদিকে পুলিশ এই বিষয়ে কোনো রকমের তদন্ত করছে না বলে যুবকের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়।
0 মন্তব্যসমূহ