ধর্মনগর প্রতিনিধিঃ "ভারত বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও" এই শ্লোগানকে সামনে রেখে রবিবার চারটি বাম সংগঠন সিআইটিইউ, সারা ভারত কৃষকসভা, গণমুক্তি পরিষদ ও ত্রিপুরা ক্ষেত মজুর ইউনিয়ন এর যৌথ উদ্যোগে সারাভারত ব্যাপী আন্দোলনের কর্মসূচীর অঙ্গ হিসাবে ভারত বাঁচাও দিবস পালিত হলো ধর্মনগরে। রবিবার সকালে ধর্মনগর সিপিআই(এম) উত্তর জেলা কার্যালয়ে বাম কর্মী সমর্থকেরা মিলিত হয়ে কোভিড-১৯ নির্দেশিকা মেনে, শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে সিপিআই(এম) কার্যালয়ের সম্মুখেই গলায় দাবি সনদের প্লেকার্ড ঝুলিয়ে শ্লোগান তুলে ধর্নায় সামিল হয়ে ভারত বাঁচাও, কর্মসূচি পালন করেন।
উক্ত এই ভারত বাঁচাও কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন সিআইটিইউ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তথা সিপিআই (এম) উত্তর জেলার সম্পাদক অমিতাভ দত্ত। তবে কর্মসূচি শেষে অমিতাভ দত্ত জানান ১৯৪২ সালের ৯ আগস্ট ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের হাত থেকে ভারতকে স্বাধীন করতে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নিতি থেকে দেশকে বাঁচাতেই আজকের দিনে গোটা দেশের সাথে সাথে রাজ্যের প্রতিটি মহকুমায় এই চারটি বাম গণ সংগঠনের উদ্যোগে ভারত বাঁচাও দিবস পালন করা হচ্ছে।
এই কর্মসূচি থেকে কিছু দাবি তুলে ধরেন তিনি। যেমন বর্তমানে লকডাউনের কারনে দেশের বহু শ্রমিক কাজ হারিয়েছেন সেই শ্রমজীবী, গরিব, অসহায় পরিবার গুলোতে আগামী ৬ মাস যাবত প্রতিমাসে ১০কেজি খাদ্য-শস্য বিনামূল্যে সরবরাহ করা। আয়করমুক্ত প্রতিটি পরিবারের হাতে নগদ মাসিক ৭৫০০ টাকা করে আগামী ৬ মাস প্রদান করা। রেগা ও টুয়েপে বছরে ২০০ দিন কাজ ও ৬০০ টাকা মজুরী প্রদান করা। পাশাপাশি বর্তমান দেশের বেকার দের চরম অর্থনৈতিক সংকট মেটাতে বেকারদের কাজ নতুবা কাজ সাপেক্ষে বেকার ভাতার দাবিও তোলেন তিনি।
আলোচনা করতে গিয়ে তিনি বর্তমান কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির নিন্দা জানিয়ে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সরকারি স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নত করার ও দাবি করেন। পাশাপাশি রেল সহ বিভিন্ন লাভজনক রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা বেসরকারি করন করার কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিবাদ জানান তিনি। রবিবারের কর্মসূচিতে সিপিআই(এম) উত্তর জেলার সম্পাদক অমিতাভ দত্তের সাথে উপস্থিত ছিলেন সারা ভারত কৃষকসভার নেতৃত্ব রতন রায় ত্রিপুরা ক্ষেতমজুর ইউনিয়নের নেতৃত্ব শক্তি ভট্টাচার্য প্রমুখ।
0 মন্তব্যসমূহ