কিন্তু চিঠিটি পড়ার পর দেখতে পান যে মিনিস্ট্রি অফ দা লো অ্যান্ড জাস্টিস গভর্নমেন্ট অফ ইন্ডিয়া, ফাইল নং-98/9/TDC/2020, Date- ১৬-July2020, নিউ দিল্লি থেকে শৈলেশ আহুজা, সেকশন অফিসারের নামে স্বাক্ষরিত। কিন্তু চিঠিটি ভালো ভাবে সম্পূর্ণ পড়ার পর দেখতে পান যে শর্ত মোতাবেক চিঠিতে লিখিত যোগাযোগ ০৭৫৩৩৮৩৭৯৩৪ নম্বর এ একটি এস এম এস সেন্ট করার পর ১২ ঘন্টার মধ্যে ড্রিমান্ড ড্রাফট এ ১৪,৫০০ টাকা জমা দিতে বলা হয়েছে এবং অন্যথায় চাকরি থেকে বঞ্চিত করা হবে। কিন্তু চিঠিটি পড়ার পর বিস্তারিত জানতে নিজের কাকুর সাথে আলোচনা করেন এবং কাকু চিঠিটি পড়েই বোঝে যান যে এটা সম্পূর্ণ ফেইক। কারন তিনি গত জুলাই মাসে প্রীতম মালাকার নামে এক বেকার যুবক এর সাথে এমনই একটি ঘটনার সংবাদ দেখেছেন।
তাই সমরজিৎ দেব নাথ এক পারিবারিক আত্মীয়,তথা সংবাদকর্মীর সাথে যোগাযোগ করলে শুরু হয় লিখিত নাম্বারে কথা বলা এবং অনলাইন মারফত উক্ত মিনিস্ট্রি অফ দা লো অ্যান্ড জাস্টিস গভর্নমেন্ট অফ ইন্ডিয়া প্রেরিত লেটার এর জোর তল্লাশি। তাতে জানতে পারেন যে এবারও সমরজিৎ এর সাথে সাথে ত্রিপুরার বিভিন্ন জায়গায় বেকার যুবক যুবতীরা ঠিক এমনই সরকারি অ্যাপারমেন্ট লেটার পেয়েছেন। প্রাথমিক তদন্ত করে বুঝতে পারেন যে আদৌ বিষয়টি পুরোপুরি ধাপ্পাবাজি করে বেকার যুবক ভাইদের কাছ থেকে অর্থ উপার্জনের একটি কৌশল।
এমতাবস্থায় সংবাদ মাধ্যমের মারফতে সমরজিৎ দেব নাথ ত্রিপুরার সমস্ত বেকার যুবক ভাই বোনদেরকে সতর্কবার্তা দিতে চান যে বর্তমান ভারত সরকারকে বদনাম করতে এবং মিনিস্ট্রি অফ দা লো অ্যান্ড জাস্টিস এর নাম করে যে বা যাহারা এমন অবৈধ অর্থ উপার্জনের ফাঁদ পেতেছেন তা থেকে সতর্ক থাকার জন্য। তৎসঙ্গে সরকার মহোদয়ের কাছে আবেদন রাখেন যে বা যাহারা চাকরি দেওয়ার নাম করে অবৈধ ব্যবসার ফাঁদ পেতেছে তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য। এখন দেখার বিষয় প্রতিনিয়ত সমরজিৎ দেব নাথ সহ ত্রিপুরার অন্যান্য যুবক ভাইদের সাথে সরকারি চাকরির নামে মিনিস্ট্রি অফ জাস্টিজ এর নাম করে যে অবৈধ সরকারি চাকরি প্রদানের ব্যবসা চলছে, তার সুষ্ঠু তদন্ত করে কি প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
0 মন্তব্যসমূহ