সবুজ ত্রিপুরা
২৩ জুন, ২০২০
মঙ্গলবার
চুরাইবাড়ি প্রতিনিধিঃ কদমতলা থানা এলাকার সাতসঙ্গম এলাকায় শশুর বাড়িতে এসে পাশের বাড়ির যুবতীকে ধর্ষণ। ঘটনার বিবরণে জানা যায় গত ১৮ জুন বৃহস্পতিবার ধর্মনগরের কালিকাপুরের বাসিন্দা অনিল নমঃ পিতা সুনীল নমঃ কদমতলা থানাধীন সাতসঙ্গম এলাকায় তার শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে আসে। আর ঐ দিন সন্ধ্যাবেলা অনিল নমঃ তার শ্বশুরবাড়ির পাশের ঘরের নির্জনতার সুযোগ নিয়ে ২০ বছরের এক যুবতীকে বিয়ের প্রলোভন ও বল পূর্বক ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
তখন ঐ যুবতীর অন্ধ পিতা ঘরে ছিল না। কিন্তু যুবতীর ছোট ভাই ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করে আশপাশের লোকজন ও তার বাবাকে জানায়। ঘটনাটি জানতে পেরে যুবতীর পিতা ও আশপাশের জনগণ ছুটে এসে অনিল নমকে হাতেনাতে পাকড়াও করে। তারপর বসানো হয় সালিশি সভা।
অভিযুক্ত অনিল নমঃ সালিশি সভায় উপস্থিত সকলের কাছে প্রতিশ্রুতি করে যে ঐ যুবতীকে বিয়ে করবে। কিন্তু জানা যায় অনিল নমঃ আগে থেকেই বিবাহিত। তা সত্ত্বেও সভায় অভিযুক্তের স্ত্রী ও আত্মীয়-স্বজনরা ধর্ষিতা যুবতীকে বিয়ে করার সম্মতি জানান। সালিশি সভার বিচার অনুসারে অভিযুক্ত অনিল নমঃ ঐ যুবতীকে সামাজিকভাবে বিয়ে করবে বলে জানায়। পরের দিন অর্থাৎ শুক্রবার ধর্ষিতা যুবতী ও অনিল নমকে নিয়ে অভিযুক্তের আত্মীয় পরিজনরা কালিকাপুরের নিজ বাড়িতে চলে যান।
সেখানে যাওয়ার পর ধর্ষিতা যুবতীকে অভিযুক্ত অনিল তার বাবা ও ছোট ভাই মিলে মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় বলে ধর্ষিতা যুবতীর অভিযোগ। সেখান থেকে নিরুপায় হয়ে সাত সঙ্গম এলাকার বাবার কাছে আশ্রয় নেয় ধর্ষিতা যুবতী। তারপর গতকাল রাত্রিবেলা ধর্ষিতা যুবতী অভিযুক্ত অনিল নমের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা রুজু করেন, পাশাপাশি তার বাবা ও ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে মারপিটের মামলা রুজু করে। মামলা নম্বর হলো KDL/PS/33/20, ভারতীয় দণ্ডবিধির 22/6/20 U/S 342/376(2)(L)/376(2)(N)/34 ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে কদমতলা থানার পুলিশ। বর্তমানে অভিযুক্ত ধর্ষনকারী অনিল নমঃ পলাতক হলেও ইতিমধ্যে কদমতলা থানার পুলিশ অভিযুক্তের পিতা সুনীল নমঃ (৫৫) এবং ছোট ভাই গোপাল নমঃ কে গ্রেফতার করেছে। পাশাপাশি কদমতলা থানার পুলিশ খুব শীঘ্রই অভিযুক্ত ধর্ষণকারী অনিল নমঃ কে জালে তুলবে বলেও জানিয়েছে কদমতলা থানার পুলিশ।
0 মন্তব্যসমূহ