সবুজ ত্রিপুরা
২৭ জুন, ২০২০
শনিবার
তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধিঃ স্বামী ,পুত্র ,কন্যা সহ পরিবারের ৪ জনকে একই সাথে একই দিনে হারানোর ব্যথা কুড়ি(২০) বছর পরেও ভুলতে পারেননি জীবনের শেষ বেলায় এসে কৃষ্ণপুর বড়লুংঙ্গা গ্রামের যমুনা সরকার। যমুনা দেবীর যেন ঐ ঘটনা আজও জ্বলজ্বল করছে চোখের সামনে। ভুলতে পারেনি ঐ রাতের ভয়ানক ঘটনাটি। তিনি হৃদয়ের বেদনা যন্ত্রণা কথাগুলো বলতেও পারছিলেন না।
আরও পড়ুনঃ তিন মদমত্ত যুবকের হামলায় আহত দুই যুবক
উনি বলেন, গত ২০০৩ সালের ১৪ ই আগস্ট রাতের কথা। কি ভয়ানক ই না ছিল সেই ঘুট ঘুটে কালো অন্ধকারময় রাত। তেলিয়ামুড়া থানাধীন কৃষ্ণপুর বড়লুংঙ্গা গ্রামে উগ্রপন্থিরা নির্বিচারে গুলি চালিয়ে রাত ৯টা নাগাদ ১৬ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে হত্যা করে। সেই অভিশপ্ত রাতে নিহতদের আত্মীয় পরিজন কিভাবে দিন গুজরান করছেন এবং ঐ সময় সরকার থেকে কতটুকু সহযোগিতা পেয়েছিলেন উনারা তারই খোঁজ খবর নিতে আমাদের তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধি ছুটে গিয়েছিল সেই অভিশপ্ত বড়লুঙ্গা গ্রামে।
ঐ গ্রামের বাসিন্দা ৬০ বছর বয়সী যমুনা সরকার ভাঙ্গা গলা কাপা কাপা স্বরে জানান, তখন ছিল গরিব দরদী বাম সরকার। সরকার প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দিলেও কানাকড়ির সরকারি সাহায্য সহযোগিতা পায়নি সেই পরিবার গুলি। সেই সময়ের গণহত্যায় ১৬ জনকে হত্যা করেছিল উগ্রপন্থীরা।
যমুনা সরকারের ছেলে বলেন, সরকারি সাহায্য সহযোগিতার জন্য বাম সরকারের মন্ত্রী থেকে নেতা আমলাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন সরকারি সাহায্য সহযোগিতা পাননি তারা। ঐ ঘটনার পর অসহায় পরিবারগুলো বর্তমানে অন্যের বাড়িতে জীবন অতিবাহিত করছেন।
বর্তমানে রাজ্যে বিজেপি-আই.পি.এফ.টি জোট সরকার। এখন এই পরিবার গুলো জোট সরকারের নিকট সাহায্য সহযোগিতার আবেদন জানান। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে খোয়াই জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্য রঞ্জিৎ সরকার জানান, যদিও ঘটনার কুড়ি (২০) বছর হয়ে গেছে, তবুও তিনি নিজে উদ্যোগী হয়ে ঐ সব পরিবার গুলোকে কিভাবে সরকারি সুযোগ সুবিধার আওতায় আনা যায় এবং কিভাবে সরকারের নজরে নেওয়া যায় সে বিষয়টি তিনি দেখবেন।
0 মন্তব্যসমূহ