২৭ জুন, ২০২০
শুক্রবার
ধর্মনগর প্রতিনিধিঃ আসামের ১৬টি জেলায় বন্যার প্রকোপে মৃত্যু হলো ১৬ জনের। বন্যার কবলে ক্ষতি হয়েছে প্রায় আড়াই লাখ মানুষের। ভয়ঙ্কর ক্ষতিগ্রস্ত ধীমাজি জেলা। এছাড়াও জলে ডুবে তিনসুকিয়া, মাজুলি, ডিব্রুগড়। ভেসে গিয়েছে লখিমপুর, বিশ্বনাঘ, উদালগিরি, বাকসা, দাড়ানফ, নীলবাড়ি, কোকরাঝার বরপেটা, নওগাঁও, গোলাঘাট, জোরহা, শিবসাগর।
শুক্রবার এক ডিব্রুগড়ের বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। সেখানে কমপক্ষে ২৫ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। সরকার সূত্রে খবর, রাজ্যে ছ’টি জেলায় এখনও পর্যন্ত ১৪২টির মতো রিলিফ ক্যাম্প তৈরি হয়েছে। অন্তত ১৮ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সরকার। বন্যায় বড় ক্ষতি হয়েছে মরিগাঁও এলাকার পবিতরা বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ কেন্দ্রে। প্রাণ বাঁচাতে স্থানীয় উঁচু এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে বন্যপশুরা। বৃহস্পতিবার থেকেই বন্যার জল ঢোকা শুরু হয়েছে। ঘরবাড়ি, গবাদিপশু সহ প্রায় ১২ হাজার হেক্টর চাষের জমিতে বন্যার জল ঢুকে ফসল নষ্ট হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
ভারতে বর্ষা আগেই ঢুকে পড়েছে। দক্ষিণ–পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর কারণে বিগত কয়েকদিন ধরেই অসমে লাগাতার বৃষ্টি হয়েছে। অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণেই ফুঁসছে ব্রহ্মপুত্রের জল। বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে ব্রহ্মপুত্র ও তার অসংখ্য শাখানদী ও উপনদী।
0 মন্তব্যসমূহ