সবুজ ত্রিপুরা
২৭ জুন, ২০২০
শনিবার
চুরাইবাড়ি প্রতিনিধিঃ নারী নির্যাতনের এক নগ্নরুপ জনিত কান্ড ঘটে গেল পাথারকান্দিতে। হাতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে রীতিমত বুক ফুলিয়ে নিজ শ্বশুর বাড়িতে প্রবেশ করে তান্ডব চালয় এক জামাই বাবাজী। এতে নিজের স্ত্রীর এক হাত কেটে দু-টুকরো হবার পাশাপাশি গুরতর আহত হয়েছেন শ্বশুর শ্বাশুড়ীও। তারা সবাই বর্তমানে চিকিৎসাধীন।
এমন কান্ডে স্থানীয় এলাকায় চাঞ্চল্য বিরাজ করছে।ঘাতক স্বামীর নাম সেলিম উদ্দিন(৩৫)। লোমহর্ষক এই ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার রাতে অসমের করিমগঞ্জ জেলার পাথারকান্দি থানাধীন বান্দরকোনা জিপির ১০ নং ওয়ার্ড বাটইয়াতে। পুলিশ সুত্রে জানা গেছে গত দু-বছর পূর্বে ধর্মীয় রীতি-নীতিতে রাতাবাড়ি থানাধীন ছাগিখাউড়ি গ্রামের মাতাব উদ্দিনের পুত্র সেলিমের সঙ্গে বাটইয়া গ্রামের আব্দুল সাহিদের কন্যা পরিমা বেগমের বিবাহ হয়। এরপর থেকেই নবদম্পতির মধ্যে প্রতিনিয়ত কলহ ঝগড়া লেগে থাকত বলে অভিযোগ।
পরবর্তিতে দাম্পত্য জীবনে কলহের কারনে গত দু মাস আগে তাঁর স্ত্রী পিতৃগৃহে চলে আসে।এদিকে গত বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ৯ টা নাগাদ সেলিম হঠাৎ অগ্নিমুর্তি হয়ে শ্বশুর বাড়িতে এসে ধারালো একটি দা নিয়ে নিজের স্ত্রীর উপর চড়াও হয়। তার দায়ের কোপে স্ত্রী পরিমা বেগমের ডান হাত কেটে দু-টুকরো হয়ে মাটিতে পড়ে যায়।এদিকে মেয়ের আর্তনাদে অন্য ঘরে থাকা তাঁর পিতা-মাতা মেয়েকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে আসলে ঘাতক জামাই বাবাজী মুহূর্তের মধ্যে শ্বশুর-শাশুড়ীকেও পরপর দায়ের কোপ বসিয়ে তাদেরকে রক্তালুপ করে বাড়ির উঠোনে ফেলে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করে।
কিন্তু ততক্ষনে পড়শীরা এগিয়ে এলে ধরা পড়ে ঘাতক জামাই। পরে তাকে আটক করে উত্তম মধ্যম দিয়ে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে যান পাথারকান্দি থানার ওসি তানবীর আহমদ। তিনি ঘাতক সেলিমকে থানায় নিয়ে আসার পাশাপাশি গুরুতরভাবে আহতদের প্রথমে করিমগঞ্জ ও পরে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন উন্নত চিকিৎসার জন্য।পাথারকান্দি থানার পুলিশ সুনির্দিষ্ট ধরায় মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ