সবুজ ত্রিপুরা
১৯ জুলাই
বুধবার
তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধিঃ অবৈধ কাঠ বোঝাই গাড়ি ধরেও ফুরুত সেই গাড়ি! কত টাকা নগদ নারায়ণ পাবার পর ছেড়ে দেওয়া হল গাড়িটিকে! উঠছে প্রশ্ন..?
মঙ্গলবার ভোর হতে না হতেই কল্যাণপুরে অবৈধ ভাবে কাঠ বোঝাই এই গাড়ি নিয়ে রীতিমতো পরিকল্পিত নাটকের পর নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে, যদিও এই নাটকের এক পর্যায়ে তাৎপর্যপূর্ণভাবে বন কর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার দৃশ্যও অনেকটা অবিশ্বাস্যভাবে ফুটে উঠেছে। এই গোটা ঘটনার নেতৃত্বে ছিলেন, তেলিয়ামুড়া বন দপ্তরের এক তথাকথিত মেরুদণ্ডহীন অফিসার অভিনাশ নাথ। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, মঙ্গলবার রুটিন টহলের সময় তেলিয়ামুড়ার বনদপ্তরের কর্মীদের নজরে আসে কল্যাণপুর এলাকায় একটি কাঠ ভর্তি গাড়ি দেখা দিলে গাড়িটির গতি রোধ করে বনকর্মীরা। স্বাভাবিকভাবেই তেলিয়ামুড়া থেকে যে সমস্ত বনকর্মীরা নিজেদের সরকারি
হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন
দায়িত্ব পালন করার জন্য কল্যাণপুরে ছুটে গেছিলেন, উনারা যখন অবৈধভাবে গাড়িটাকে আটক করেছিলেন তখন এই বিষয়টা একটু একটু করে সাধারণ মানুষের নজরে আসে।অসমর্থিত সূত্রে খবর,, কিছুটা এরকমও ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে গোপালনগরের কোন একটা সিসি রোডের মধ্যে গিয়ে কিছু একটা ইত্যাদি ইত্যাদি আলাপ সালাপও হয়েছিল(ঘটনার সময়ের কয়েকটা ছবি দুর্ভাগ্যবশত সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদকের কাছে রয়েছে)। যাক আর কিছুক্ষণ পরে কি হয়েছে তার সংশ্লিষ্ট যিনি বন আধিকারিক তথা তেলিয়ামুড়ার অভিনাশ নাথ মহোদয় ভালো করে বলতে পারবেন।ঘটনা ঘটার কিছুক্ষণের মধ্যেই কল্যাণপুরের বন বিভাগের যে কর্মীরা রয়েছেন তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারাও প্রাথমিকভাবে দাবি করেছিলেন একটা কাঠের গাড়ি আটক করা হয়েছে এবং উনারা সংশ্লিষ্ট জায়গায় যাচ্ছেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কাঠের গাড়িটি নাকি পালিয়ে গেছে। অবাক কান্ড! কিছুক্ষণ আগে বনকর্মীদের হাতে ধৃত কাঠ ভর্তি গাড়ি দিনের আলো ফোটার সাথে সাথেই পালিয়ে যায়, প্রশ্ন উঠছে যদি পালিয়ে গিয়ে থাকে তাহলে কিভাবে , কেনই বা পালিয়ে গেল! এই পালিয়ে যাওয়ার বিষয় নিয়ে বন কর্মীদের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রকারের বক্তব্য উঠে আসছে। কখনো বলছেন হঠাৎ করে কথার ফাঁকে পালিয়ে গেছে, এ জায়গায় প্রশ্ন উঠতে পারে আপনারা যদি গাড়িটাকে ধরেই থাকেন তাহলে চাবিটা কেন নেননি? প্রশ্ন উঠতেই পারে এত বড় অভিযান করলেন, কল্যাণপুরের বন কর্মীদের কেন অবগত করেননি? তাহলে কি আমরা ধরে নিতে পারি তেলিয়ামুড়া থেকে যারা বন দপ্তরের কাজ করতে যাচ্ছেন তারা কি কল্যাণপুরের বন কর্মীদের বিশ্বাস করতে পারছেন না? নাকি এর পেছনে রয়েছে অন্য কোন হিসেব-নিকেশ? কারণ মা দুর্গার আরাধনা যে আসন্ন। যাক সে কথা, পরবর্তীতে তেলিয়ামুড়াতে স্ব-শরীরে ছুটে এসে ফরেস্টার অবিনাশ নাথ দাবি করেন, কাঠের গাড়ির চালক নাকি যথেষ্ট বুদ্ধিমত্তার সাথে উনাদের গাড়িকে এক প্রকার ঠুকে দিয়ে উনাদের সকলকে একসাথে আহত করে জায়গা ত্যাগ করেছেন। আমরা মাননীয় ফরেস্টার অবিনাশ বাবুর কথাটাকে বিশ্বাস করে উনাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি, সাথে সাথে প্রশ্ন করছি যেখানটায় আপনি বলেছেন আহত হয়েছিলেন, ব্যাথা পেয়েছিলেন সেখান থেকে মাত্র ১০০ মিটার বা খুব কম দূরত্বের মধ্যে কল্যাণপুরের হাসপাতাল, সেখানে কেন গেলেন না মাননীয় গন?
কল্যাণপুর থানার পুলিশের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এরকম ঘটনা বা বন কর্মীদের আহত করার মতো ঘটনার খবর অন্তত দুপুর দুটা পর্যন্ত পুলিশের কাছে নেই। খুব আশ্চর্য না, ভীষণ আশ্চর্য। তবে মঙ্গলবার কল্যাণপুরে যে কাঠ নিয়ে সংশ্লিষ্ট অবৈধ কাঠ ব্যাবসায়ী এবং বন কর্মীদের সাথে একটা পূর্বপরিকল্পিত স্ক্রিপ্টেড নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে তা কিন্তু সবারই জানা। কাজেই মহাশয়গণ সাধু সাবধান।
0 মন্তব্যসমূহ