ইনজেকশন ও বালিশ চাপা দিয়ে স্ত্রীকে হত্যা করার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে-Sabuj Tripura

 

সবুজ ত্রিপুরা

২৩ জুন

শুক্রবার

তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধিঃপরস্ত্রী  কাতর এবং অবৈধ সম্পর্কের জেরে ইনজেকশন ও বালিশ চাপা দিয়ে স্ত্রীকে হত্যা করার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। থানায় মামলা প্রায় দশ মাস  অতিক্রান্ত হওয়ার পর। 

ঘটনার তেলিয়ামুড়া মহকুমা মুঙ্গিয়াকামী থানাধীন মুঙ্গিয়া কামি বাজার সংলগ্ন লক্ষ্মী চরণ পাড়ায়।  জানা গেছে, লক্ষ্মীচরণ পাড়া বসবাসকারী বিশ্বজিৎ দেববর্মা এর সাথে বিয়ে হয় বিদ্যাপতি দেববর্মার। অভিযোগ দেববর্মার স্বামী বিশ্বজিৎ দেববর্মার মুঙ্গিয়া কামি থানাধীন এলাকার এক পরস্ত্রীর সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। তারপর থেকে বিশ্বজিৎ দেববর্মার স্ত্রী বিদ্যাপতি দেববর্মার উপর শারীরিক মানসিক নির্যাতন শুরু করে। গত বছরের ৯ ই আগস্ট রাতে বিদ্যা পতি দেববর্মা স্বামী বিশ্বজিৎ দেববর্মা নিজ স্ত্রীকে মরণ নাশক ইঞ্জেকশন এবং 

                   হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

পরে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করার অভিযোগ ।সে সময় মৃতা বিদ্যাপতি দেববর্মার গলার মধ্যে দাগ  ও লক্ষ্য করাতে পেরেছিল তার পরিবারের আত্মীয় পরিজনরা।বিদ্যাপতি দেববর্মার মৃতদেহ দেখে সেই সময় অভিযোগ তুলেছিল মৃতার পরিবারের আত্মীয় পরিজনরা। কিন্তু কোন এক অজ্ঞাত কারণে থানায় মামলা দায়ের করা হয়নি। এমনকি মৃতদেহ ময়না তদন্তের  জন্যে হাসপাতালে ও না নিয়ে গিয়ে সৎকার করার অভিযোগ  । এমনকি পুত্র তার মাকে পর্যন্ত দেখার সুযোগ পাইনি।এদিকে স্ত্রীর মৃত্যুর কয়েক মাস অতিক্রান্ত হতে পরশ্রীকাতর বিশ্বজিৎ দেববর্মা সেই বিবাহিত মহিলাকে বিয়ে করে। এ খবর মৃত বিদ্যাপতি দেববর্মার পরিবারের আত্মীয় পরিজনরা জানতে পেরে তাকে হত্যা করার মামলা দায়ের করা হয়েছে ৫ ই জুন খোয়াই জেলা পুলিশ আধিকারিক এর কাছে মৃত  বিদ্যাপতি  দেববর্মার নিকট আত্মীয় পদ্ম পতি দেববর্মা। খোয়াই জেলা পুলিশ কার্যালয় থেকে নথিভুক্ত মামলাটি পাঠানো হয় মুঙ্গিয়াকামি থানায়। মুঙ্গিয়াকামি থানা মামলাটি ২০ শে জুন গ্রহণ করে। মামলার নম্বর  ৩০২/৩০৬/৩৪ ভারতীয় দণ্ডবিধি ধারা। পুলিশ লিখিতভাবে আবেদন করা তথ্য অনুসারে হত্যা মামলা গ্রহণ করে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে। এদিকে সচেতন মহল থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে ১০ মাস পূর্বে হত্যা করা বিদ্যাপতি দেববর্মা মামলা পুলিশ কতটুকু ইতি টানতে পারবে সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন ? তবে পুলিশের কাছে যে এই মামলাটা চ্যালেঞ্জ তা বলার আর অপেক্ষা রাখে না। দাবি সচেতন মহল এবং মৃতার আত্মীয় পরিজনদের,পুলিশ যাতে 

সঠিক তদন্ত ক্রমে বিদ্যাপতি দেববর্মা হত্যা মামলার সুস্থ তদন্ত ক্রমে স্বামী বিশ্বজিৎ দেববর্মার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্যতা জনসম্মুখে তুলে ধরে । ঐদিন বিদ্যাপতি দেববর্মা এবং তার স্বামী বিশ্বজিৎ দেববর্মা দুজনের মধ্যে রাতে কি ঘটেছিল পুলিশি তদন্তক্রমে বেরিয়ে আসবে । এদিকে জানা গিয়েছে অভিযুক্ত স্বামী বিশ্বজিৎ দেববর্মা পলাতক।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu