বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট দিয়ে খোয়াই নদী থেকে মাছ ধরার সময় স্থানীদের হাতে আটক ২-Sabuj Tripura

 

সবুজ ত্রিপুরা

৫ মে

শুক্রবার

তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধিঃ রাতের অন্ধকারে অবৈধভাবে ব্যাটারি ব্যাবহার করে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট দিয়ে খোয়াই নদী থেকে মাছ ধরার সময় স্থানীয়রা হাতেনাতে ধরে ফেলে দু'জনকে। ঘটনার খবর 

মৎস্য দপ্তরের কানে পৌঁছতেই, সঙ্গে সঙ্গেই -এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্য ময়দানে নামলেন তেলিয়ামুড়া মৎস্য দপ্তর। গোটা ঘটনাটি ঘটে তেলিয়ামুড়া পৌর পরিষদের অন্তর্গত শান্তিনগর এলাকায় খোয়াই নদীতে। অভিযোগ, কিছু কুচক্রীরা রাতের অন্ধকারে খোয়াই নদীতে ব্যাটারি ব্যবহার করে বৈদ্যুতিক শট দিয়ে মাছ ধরছে। আর এর ফলে বহু দিন যাবৎ নদীর জলে দেখা মেলেনি সরপুঁটি, ছোট ভেটকি'র মতো বহু নদীয়ালি মাছের। তাতে উদ্বিগ্ন তেলিয়ামুড়ার প্রকৃত মৎস্য জিবীরা। রাতের অন্ধকারে অবৈধভাবে ব্যাটারি ও বিষ ব্যাবহার করে মাছ ধরার ফলেই বর্তমানে প্রায় লুপ্ত হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির নদীয়ালি মাছ। এমনই এক ঘটনা প্রত্যক্ষ করতে পেরে শান্তিনগর এলাকার মানুষজন খোয়াই নদী থেকে রাতের অন্ধকারে দুই ব্যাক্তিকে হাতেনাতে আটক করে। জানা যায়, ওই দুই ব্যাক্তি ব্যাটারির 

                   হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

সাহায্যে খোয়াই নদীর জলে বিদ্যুতিক শর্ট দিয়ে নদী থেকে অবৈধভাবে মাছ ধরছিল। সেই সময় শান্তিনগর এলাকার সচেতন মানুষজন ওই দুই ব্যাক্তিকে হাতেনাতে আটক করে এবং আগামী দিন যাতে এই পদ্ধতিতে মাছ না ধরে এর জন্য কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি  দেয়। পরবর্তীতে, এই ঘটনার খবর যায় তেলিয়ামুড়া মৎস্য দপ্তরে, ঘটনার খবর পেয়ে তেলিয়ামুড়া মৎস্য দপ্তরের সুপারিনটেনডেন্ট বিভাশ বিশ্বাস উক্ত দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে তেলিয়ামুড়া থানায় অভিযোগ করেন এবং তৎসঙ্গে তেলিয়ামুড়া পৌর পরিষদের সহ পৌরপিতা মধুসূদন রায়ের সঙ্গে এই বিষয়টি নিয়ে মানুষজনকে সচেতন করার জন্য একটি আলোচনা করেন। একাংশ সচেতন সাধারণ নাগরিক এবং মৎস্যজীবীদের অভিমত, খোয়াই নদীতে শেষ ছ’মাসে দেখা মেলেনি মহাশোল, সরপুঁটি, নেদস বা ছোট ভেটকির মতো নদীয়ালি মাছের। আর এই বিষয়টি বেশ উদ্বেগের।মৎস্য দপ্তরের একটি সূত্রে জানা গেছে, পুঁটি, রানী, গুতুম, গুচি, চ্যাং-সহ নানা প্রজাতির মাছের জোগান দিন দিন কমছে এই খোয়াই নদীতে। পরিবেশ প্রেমীদেরও আশঙ্কা, বিভিন্ন অবৈধ পদ্ধতি অবলম্বন করে খোয়াই নদী থেকে মাছ ধরার ফলে আগামী দিন নদী থেকে ধীরে ধীরে হারিয়ে যাবে বিভিন্ন প্রজাতির সু-স্বাদু মাছ। নদীয়ালি মাছ ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজন রয়েছে মাস্টার প্ল্যানের। তাছাড়া প্রয়োজন মৎস্য দপ্তরের আধিকারিক মাছ ধরার উপর বিশেষ কিছু নিষেধাজ্ঞা। এবং অবৈধ মাছ শিকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ। তাছাড়া, ব্যাটারি পরিচালিত কারেন্টের  জাল দিয়ে মাছ ধরা সম্পূর্ণভাবে বেআইনি। এতে ডিম থেকে সদ্য বের হওয়া মাছও আটকে পড়ে। খোয়াই নদীতে রাতের অন্ধকারে ব্যাটারি দিয়ে জলের মধ্যে হাল্কা বিদ্যুৎ দিয়ে মাছ ধরে আসছে একাংশ কচক্রীরা। যা পুরোপুরি বেআইনি। তবে বলা বাহুল্য মৎস্য দপ্তর'কে ঘুমে রেখে কী ভাবে ব্যাটারি দিয়ে মাছ ধরা হয় নদীতেস্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,,, তেলিয়ামুড়া মহকুমার তেলিয়ামুড়া, কল্যানপুর, মুঙ্গিয়াকামী সহ বিভিন্ন এলাকায় ছোট বড় নদীতে দল বেঁধে একাংশ কুচক্রিরা এই ব্যাটারির সাহায্যে মাছ শিকার করছে প্রতিনিয়ত। এর জন্য দু’টি বাঁশের মাথায় লোহার রডে বিদুৎতের তার লাগিয়ে তার সংযোগ করে দেন ব্যাটারিতে। নদীতে কোনো জায়গায় মাছ দেখলে নেগটিভ ও পজেটিভ তার দু’টি ওই জায়গায় লম্বা বাঁশের সাহায্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গে সেখানকার মাছগুলি নদীতে ভেসে উঠে এবিষয়ে তেলিয়ামুড়া মৎস্য দপ্তরের সুপারেনটেনডেন্ট 

বিভাস বিশ্বাস জানান, এই ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। ব্যাটারি দিয়ে মাছ ধরা ও বিষ প্রয়োগে মাছ মারায় বহু প্রজাতির মাছ হারিয়ে যেতে বসেছে। বিশেষ করে নদীয়ালি  মাছ বিপন্ন তালিকায় চলে গিয়েছে। আর এটা কোনভাবেই হতে দেওয়া যাবে না, এর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu