সবুজ ত্রিপুরা
১৮ এপ্রিল
মঙ্গলবার
তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধিঃ"কি অপরাধ ছিল আমার, কেন মা আমাকে এই নিষ্ঠুর পৃথিবীতে এনেছিলে তোমরা"(?) এমনটাই প্রশ্ন যেন ভূমিষ্ঠ হওয়া এক শিশুর নিথর মৃতদেহ চেঁচিয়ে বলতে চাইছে গোটা সভ্য সমাজ'কে।এমনটাই ঘটনা তেলিয়ামুড়া'য়।উল্লেখ্য থাকে,,
তেলিয়ামুড়া শহরের উপকণ্ঠে অর্থাৎ গোলাবাড়ি এলাকার খোয়াই নদীতে এক ব্যাক্তি স্নান করতে গিয়ে পঁচা দুর্গন্ধের হদিস পায়। সামনে এগিয়ে গেলেই জলে জমে থাকা আবর্জনায় একটি শিশুর মৃতদেহ দেখতে পায় লোকজন। সঙ্গে সঙ্গে নদীর অপর পাশে অর্থাৎ শান্তিনগর এলাকার লোকেরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং খবর দেওয়া হয় তেলিয়ামুড়া থানায়। থানা থেকে পুলিশ গিয়ে ওই শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করে তেলিয়ামুরা মহাকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে। অন্যদিকে, মৃত শিশু উদ্ধারের ঘটনায় জনমনে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে কার পাপের ফসল এই মৃত শিশু? কোথা থেকে এলো নদীর জলে এই শিশুর মৃতদেহ। নাকি এর পেছনে একাংশ চিকিৎসকরা জড়িত, যারা বিশাল টাকার বিনিময়ে প্রতিনিয়ত ভ্রুণ হত্যা
হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন
করে চলছে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে। কারণ এই সমস্ত শিশুর জন্ম চিকিৎসা বিজ্ঞান ছাড়া কোনভাবেই সম্ভব নয়। কারণ দীর্ঘ প্রচলিত এই ভ্রুণ হত্যা তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালের ঐতিহ্য থাকলেও ফলাও করে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ছাপানো হলেও একশ্রেণীর চিকিৎসকদের কোন কিছু যায় আসে না। বিগত কিছুদিন আগেও তেলিয়ামুড়া পুরাতন হাসপাতালের সরকারি আবাসন ভাঙ্গার সময় তৎকালীন তেলিয়ামুড়া হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত এক চিকিৎসকের ব্যক্তিগত আবাসন থেকে উদ্ধার হয় নবজাতকের কঙ্কাল। অন্যদিকে কান পাতলেই শোনা যায়,, হাসপাতালের মধ্যে ভ্রুণ হত্যা শেষে একশ্রেণীর চিকিৎসকের মোটা অঙ্কের টাকা'কে স্ফিত করতে রোগীনিকে হাসপাতালের সরকারি ঔষধ ও প্রদান করে না। যা প্রত্যন্ত অঞ্চল কিংবা সমতলের গরীব অংশের মানুষ যদি কোন কারণে ঔষুধের প্রয়োজন হয় তখন নামমাত্র দিয়ে কিংবা না দিয়ে ঔষুধ ক্রয় করার জন্য ব্যাবস্থাপত্রে লিখে দেওয়া হয়। যার ফল স্বরূপ খোয়াই নদীতে উদ্ধার হল নবজাতকের দেহ। তবে তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালের বিরুদ্ধে অহরহ অভিযোগ থাকলেও অর্থাৎ হাসপাতালের কর্মসংস্কৃতি লাটে উঠলেও ভারপ্রাপ্ত এস.ডি.এম.ও চন্দন দেববর্মার কোন কিছু যায়
আসে না। হাসপাতালের উন্নতিকল্পে বর্তমানে দুজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নিয়োগ করা হলেও উনারা প্রায়শই নিজের ব্যাক্তিগত চেম্বার নিয়ে ব্যাস্ত থাকেন। আর থাকবেনই না কেন তাদের বাঁধা দেওয়ার কে আছে । হাসপাতালের বড়বাবু চন্দন দেববর্মাই যখন হাসপাতালে না এসে নিজের ব্যাক্তিগত চেম্বারে রোগী দেখেন পয়সার বিনিময়ে অন্যরা তো এমনিতেই পার পেয়ে যাচ্ছে। তবে আর যাই হোক এই সদ্যোজাত শিশুর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ছিঃ ছিঃ রব উঠেছে গোটা তেলিয়ামুড়া'য়।
0 মন্তব্যসমূহ