সবুজ ত্রিপুরা
৭ জানুয়ারি
শনিবার
তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধিঃ ঠাণ্ডা বাতাস বইছে। হালকা বৃষ্টির মতো শুভ্র শিশির পড়ছে। হিম হিম শীত আর দৃষ্টিসীমা আড়াল করা কুয়াশার কাল শুরু হয়েছে। ডিসেম্বরের শেষে জানুয়ারির প্রথম দিক থেকেই পাহাড়ি ত্রিপুরা রাজ্যের জেঁকে বসেছে শীত।
অন্তত আট জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রাজধানীসহ খোয়াই জেলার তেলিয়ামুড়া মহকুমা জুড়ে তাপমাত্রাও শৈত্যপ্রবাহের কাছাকাছি।এদিকে তাপমাত্রা কমায় ও শীত বাতাস ও কুয়াশা বেশি থাকায় রাজধানীর বায়ুর মান আরও অস্বাস্থ্যকর হয়েছে। সন্ধ্যার পর তেলিয়ামুড়া মহকুমা জুড়ে নদী-তীরবর্তী এলাকা সহ গ্রাম পাহাড় গুলোতে কুয়াশা এত ঘন হয়ে থাকছে যে দৃষ্টিসীমার ২০০ মিটার দূরের কিছু দেখা যাচ্ছে না। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, শীত ও কুয়াশার এ অবস্থা অব্যাহত থাকবে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের শেষে শীতের দাপট আরও বাড়তে পারে। কয়েকটি এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে। শৈত্যপ্রবাহ শক্তিশালী হয়ে আরও কয়েকটি জেলায় ছড়িয়ে পড়তে পারে। কুয়াশা আরও ঘন হয়ে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে জীবনযাত্রায়। ত্রিপুরা রাজ্য শহর তেলিয়ামুড়া মহকুমা বেশির ভাগ এলাকায় এখন শীতল আবহাওয়া শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তেলিয়ামুড়া শহরের বাজার সহ অলিগলিতে সকাল থেকে ঘন কুয়াশা থাকায় রোদের দেখা খুব একটা পাওয়া যায়নি। সূর্যের দেখা মেলেনি অনেক বেলা পর্যন্ত। সন্ধ্যার পর শীতের তীব্রতা বাড়ায় বিভিন্ন রাস্তায় কাগজ ও প্লাস্টিক সহ লাকড়ি দিয়ে জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা যায় অনেককে। প্রত্যক্ষ করা গিয়েছে, শহরাঞ্চল কিংবা গ্রাম
হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন
পাহাড়ে কুয়াশায় ঢাকা ভোরে ঘুমভাঙা মানুষরা বাড়ির উঠানে, রাস্তার ধারে, চা দোকানের সামনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আগুন পোহাতে। এদিকে তেলিয়ামুড়া শহরের মাস্টারদা সূর্যসেন মার্কেট এলাকায় প্রচন্ড শীতের মধ্যে পিঠে পুলি আমেজ নিতে লক্ষ্য করা গিয়েছে। শীতকালীন সময়ে পিঠে পুলি বানিয়ে বিক্রি করছে এক বিক্রেতা। আর এই শীতে পিঠে পুলি ভোজন কারীরা প্রতিদিনই ভীর জমাচ্ছে এই দোকানে। সন্ধ্যার পর থেকে পিঠে পুলির দোকানে বিক্রি ভালোই হয়ে থাকে। তবে শীত থেকে পরিত্রান পাওয়ার জন্য যারা আগুন পোহাচ্ছেন তাদের কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা একান্ত প্রয়োজন।শীতে আগুন পোহাতে গিয়ে মৃত্যু কখনও কাম্য হতে পারে না।অসাবধানে অনেকের মৃত্যু হচ্ছে। আবার অনেকে দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট এর ঘটনা ও নেহাত কম নয়। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের একমাত্র উপায় সাবধানতা। এই সতর্কবার্তা এখনই গ্রামাঞ্চলের মানুষকে জানাতে হবে। নিতে হবে এ বিষয়ে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ।শীতের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রয়োজনীয় শীত বস্ত্রের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এগিয়ে আসতে হবে সমাজের বিত্তবানদের। সাধারণ মানুষকে ভাবতে হবে, শীতের চেয়ে আগুন বেশি শক্তিশালী। শীতের হাত থেকে বাঁচা গেলেও আগুনের হাত থেকে রক্ষা
পাওয়া কঠিন। তাই খড়কুটো জ্বেলে উত্তাপ নেয়ার সময় শতভাগ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় সচেতনতা সৃষ্টি করার ক্ষেত্রে সমাজকর্মীদের পাশাপাশি প্রশাসনেরও এগিয়ে আসা উচিত বলে মনে করি। এ ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কার প্রচারণা চালালে অনেকেই সাবধান হবে। বিশেষ করে কোমলমতি চঞ্চল শিশুরা এ ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হয় বেশি। বয়স্কদের উচিত তাদের সাবধান করা বলে মনে করছে সচেতন মহল।।
0 মন্তব্যসমূহ