আবারো ২০ বক্সনগর বিধানসভা কেন্দ্রে আপামুর জনসাধারণ চাইছে বাম বিধায়ক সহিদ চৌধুরীকে-Sabuj Tripura

 

সবুজ ত্রিপুরা

১৩ জানুয়ারি

শনিবার

বক্সনগর প্রতিনিধিঃ আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন ঘোষণা না হলেও বক্সনগর বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচনের দামামা একপ্রকার বেজে গেছে বললেই চলে। প্রায় প্রতিদিন ওই শাসক সহ বিরোধী দল গুলির ছোট বড় কর্মসূচিতে আলোকিত থাকছে বক্সনগর বিধানসভা কেন্দ্র। 

কখনো বা যোগদান সভা কখনো বা জনসম্পর্ক অভিযান কখনো ঘরোয়া সভা থেকে বুথ ভিত্তিক সবার মাধ্যমে নির্বাচন ঘোষণা হবার বেশ আগে থেকেই, বিভিন্ন দলেরর কর্মী সমর্থকরা ময়দানে নেমে পড়েছেন। যদিও বাহিক্য প্রচার বা কর্মসূচির নিরিখে এগিয়ে রয়েছে শাসক এবং সিপিআই এম।এখনো কোন দলেরই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী ঘোষণা হয়নি, এরপরেও সম্ভাব্য প্রার্থীদেরকে নিয়ে মাঠ গরম করে চলছে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল। সূত্রের খবর কুড়ি বক্সনগর বিধানসভা কেন্দ্রের সিপিআইএম এর প্রার্থী নিয়ে চলছে জোর চর্চা। এদিকে সোনামুড়া মহকুমার একটি ইউটিউব চ্যানেলের মধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকায় বক্সনগর  বিধানসভা কেন্দ্রের বাম বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী সহিদ চৌধুরী নাকি টিকিট পাচ্ছে না এমন একটি সংবাদ পরিবেশন করা হয়। এই সংবাদ পরিবেশন করার পর গোটা কুড়ি বক্সনগর বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে সমালোচনার ঝড় বইছে। 

                       হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

আপামোর জনসাধারণ কোনমতেই এটা মানতে চাইছে না। অনেকেই দাবি করছেন বাম প্রার্থী সহিদ চৌধুরী কে যদি টিকিট না দিয়ে নতুন মুখ আনা হয় তাহলে কুড়ি বক্সনগর বিধানসভা কেন্দ্রের সিট শাসকদলের হাতে চলে যাবে। কারণ ব্যক্তি হিসেবে সহিদ চৌধুরীকে পছন্দ করেন আপামুর জনসাধারণ। এমনকি বিরোধী দলের একটা ভোটব্যাঙ্ক বিধায়ক সহিদ চৌধুরীকে দেখে ভোট দিয়ে আসছে দীর্ঘ অনেক বছর ধরে। সূত্রের খবর দলের নিচুস্তরের হাতেগোনা কয়েকজন লোকাল নেতৃত্ব চাইছে সহিদ চৌধুরীকে টিকিট না দেওয়ার জন্য। এলাকার আপামুর জনসাধারণ বুঝে গেছেন এই নিচু স্তরের নেতারা কেন চাইছেন না সহিদ কে। কারণ সহিদ চৌধুরী দীর্ঘ দিন ধরে নিজ এলাকা  এবং উনি যখন মন্ত্রী ছিলেন তার দপ্তর গুলো সৎ এবং নিষ্ঠার সাথে চালিয়ে এসেছেন। আজ পর্যন্ত উনার দপ্তরে এমনকি উনার নামে কোন দুর্নীতির ক্লেইম উঠতে দেখা যায়নি। অনেকেই দাবি করছেন যদি আবার সহিদ চৌধুরীকে টিকিট দেওয়া হয় তাহলে, উনার এলাকায় কোন দুর্নীতি গ্রস্ত লোককে প্রশ্রয় দেবেন না। এদিকে কুড়ি বক্সনগর বিধানসভা কেন্দ্রে  প্রত্যেকের মনে প্রাণে রয়েছেন বিধায়ক সহিদ চৌধুরী। ২০১৮ বিধানসভা নির্বাচনেও আট হাজারের বেশি ভোট পেয়ে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিলেন বিধায়ক সহিদ চৌধুরী। দীর্ঘ অনেক 

বছর ধরে এক লাগাতারে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে আসা বাম বিধায়ক সহিদ চৌধুরীকে যদি টিকিট না দিয়ে নতুন মুখ আনা হয় তাহলে কুড়ি বক্সনগর বিধানসভা কেন্দ্রটি দীর্ঘ অনেক বছর পর হারাতে হবে সিপিআইএম কে। সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এখন দেখার বিষয় রাজ্যের নেতৃত্বরা বক্সনগর কেন্দ্রে কাকে টিকিট দেয় সেদিকে তাকিয়ে আছে গোটা বক্সনগর বাসি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu