সবুজ ত্রিপুরা
১৩ জানুয়ারি
শনিবার
কদমতলা প্রতিনিধিঃ রাত পোহলেই বারো মাসে তেরো পার্বনের অন্যতম আকর্ষন মরক সংক্রান্তি।এ উপলক্ষে পাথারকান্দির বিভিন্ন বাজারে তেজি ভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে।চড়া দ্রব্য মুল্যকে দুরে ঠেলে অনেকে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন সংক্রান্তির কেনাকাটা নিয়ে।মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে শুক্রবার পাথারকান্দির বিভিন্ন সপ্তাহিক হাটে ক্রেতাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত।শাক সবজি থেকে মাছ ও খই মুড়কি তিলুয়া বাতাসা এবং
ফলমুলের দাম নাগালের বাহিরে থাকলেও অনেকে বাধ্য হয়ে ক্রয় করেছেন।এদিন মুড়ি ও চিড়ার বাজার দর ছিল কেজি প্রতি ষাট ও চল্লিশ টাকা করে।তিলুয়া বাতাসা নকুলদানা ও গুড়ের কেজি প্রতি দর ছিল যথাক্রমে আশি ও পঞ্চাশ টাকা করে।আপেল আঙ্গুর বেদানার দর ছিল যথাক্রমে এক'শ থেকে দেড়'শ টাকার মধ্যে।
হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন
ফুলকপি বাঁধাকপি ও আলু ও লোকাল সিমের কেজিপ্রতি দাম ছিল চল্লিশ টাকা করে।নারিকেল জোড়া প্রতি দাম ছিল এক'শ কুড়ি টাকা থেকে দেড়`শ টাকার মধ্যে।মাছ লোকাল তিন'শ করে কেজিপ্রতি দর থাকলেও চালানির বাজার ছিল দেড় থেকে দু'শ করে।চোঙার প্রতিটি বাঁশ হিসাবে দাম ছিল কুড়ি থেকে ত্রিশ টাকার মধ্যে।তবে লোকাল হাঁস ও মোরগ কবুতর পাঠা খাসি ইত্যাদির বাজার দর ছিল চড়া।তবুও এদিন বিভিন্ন ক্রেতাদের বাজারমুখি হতে দেখা গেছে।এদিকে সংক্রান্তি উপলক্ষে ভেলাঘর বা মেড়ামেড়ির ঘর তৈরীর ধুম পড়েছে করিমগঞ্জ জেলার স্থানে স্থানে।এ উপলক্ষে বদরপুর সমষ্টির অসমীয়া গ্রাম হিসাবে পরিচিত ঘিলাইযান গ্রামে ব্যস্ততা ছিল চোখে পড়ার মত।গ্রামের জনগন ভেলাঘর
হিসাবে নিজ গ্রামে খড়কুট ও বাঁশ দিয়ে বাস গাড়ির আদলে তৈরী করেছেন একটি ভেলাঘর।যা দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন কৌতুহলি জনতা।তাছাড়া করিমগঞ্জ জিলার আদরকোনা বড়গোল ইত্যাদি অসমীয়া গ্রাম সহ জেলার অন্যান্য গ্রামেও তৈরী হচ্ছে অভিনব কায়দার মেড়ামেড়ির দৃষ্টি নন্দন ভেলাঘর।সব মিলিয়ে সমাগত মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে সাজ সাজ রব পরিলক্ষিত হচ্ছে বরাকের প্রতিটি প্রান্তে।
0 মন্তব্যসমূহ