স্বাধীনতা সংগ্রামী প্রয়াত 'সুশীল কুমার দে' নামে পাকা সেতু হওয়াতে প্রায় ৫০০ এর অধিক কৃষি পরিবার গুলি উপকৃত-Sabuj Tripura

 

সবুজ ত্রিপুরা

৩০ ডিসেম্বর

শুক্রবার

তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধিঃ ২৫ বছরে বাম আমলের রাজত্বকালে উন্নয়নের বেলুন চুপসে গিয়েছিল । ওই আমলে বিভিন্ন উন্নয়নের কাজকর্ম গুলিকে স্থানীয় নেতৃত্বরা শোষণ করতো । ফলে উন্নয়নের কাজকর্ম 

স্তব্ধ হয়ে কঙ্কালসার হয়ে যেত । কিন্তু ২০১৮ সালে বিজেপি জোট সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়ে উন্নয়নের কাজকর্ম গুলিকে ফের চাঙ্গা করে তুলে। তেলিয়ামুড়া দশমি ঘাট থেকে বাইশঘরিয়া  যাতায়াতের জন্য খোয়াই নদীর উপর একটি পাকা সেতুর প্রয়োজন ছিল এলাকাবাসীদের স্বার্থে। সেই মতো বাম আমলে খোয়াই নদীর উপর পাকা সেতুর নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল । কিন্তু স্থানীয় বাম নেতৃত্বরা এবং সেন্ডিকেট রাজ চালিয়ে নির্মাণ কাজটিকে শোষণ করে গিলে খেয়েছিল। কিন্তু ২০১৮ সালে তেলিয়ামুড়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে কল্যাণী রায় বিধায়িকা হয়ে ওই পাকা সেতু নির্মাণ কাজটিতে হস্তক্ষেপ করেন। তিনি বাইশঘড়িয়া এলাকাবাসী এবং পূর্ত দফতরের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে নিয়ে যান বিষয়টি। বিধায়িকা কল্যাণী রায়ের একান্ত প্রচেষ্টায় খোয়াই নদীর উপর 

                হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

পাকা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়ে চলতি বছরের গত ০২/০৫/২০২২ ইং তারিখে ওই পাকা সেতুটির আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় বিধায়িকা কল্যাণী রায়ের হাত ধরে। ওই দিনে পাকা সেতু টির নামাকরণ করা হয় স্বাধীনতা সংগ্রামী প্রয়াত  'সুশীল কুমার দে' নামে। বিধায়িকা কল্যাণী রায়ের প্রচেষ্টায় বাইশঘরিয়া এলাকার প্রায় ৫০০ এর অধিক কৃষি পরিবার গুলি উপকৃত হয়। পূর্বে বাইশঘরিয়া এলাকার কৃষকরা ঘোর পথে তাদের কৃষিজ পণ্য তেলিয়ামুড়া বাজারে আনতে হত। পাকা সেতু নির্মাণের পর অতি সহজে এবং কম সময়ে কৃষকরা তাদের কৃষিজ পণ্য তেলিয়ামুড়া বাজারে নিয়ে আসতে পারে । এতে  বাইশঘরিয়া এলাকার কৃষকেরা সর্ব  দিক দিয়ে উপকৃত হয়। অন্যদিকে এলাকারই এক কৃষক জানায়,, বর্তমান সরকারের আমলে এই পাকা সেতুটি এলাকাবাসীদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে সহজ সাধ্য হওয়াতে তিনি রাজ্য সরকারকে  ধন্যবাদ জানান। উল্লেখ্য থাকে ওই বাইশঘরিয়া এলাকার কৃষকরা পূর্বে দুঃখ দুর্দশার মধ্য দিয়ে তারা চাষাবাদ করতে হতো । কিন্তু বর্তমান সরকারের আমলে তারা কৃষি কাজের ক্ষেত্রে পাচ্ছে অনেক সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে এবং পেয়েও যাচ্ছে বলে 

এমনটাই জানান ওই কৃষক। অপরদিকে বিধায়িকা কল্যাণী রায় জানান,, এই পাকা সেতুটি নির্মাণ কাজ নিয়ে তৎকালীন বাম সরকারের স্থানীয় নেতৃত্বরা সেন্ডিকেট রাজ চালিয়েছিল। তবে যাই হোক তেলিয়ামুড়া বাইশঘরিয়া এলাকায় এই পাকা সেতু নির্মাণ হওয়ার ফলে উপকৃত ওই কৃষি প্রধান এলাকার লোকজন। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu