নিশি কুটুম্বদের বার বারন্তে উষ্টাগত প্রান সাধারন জনগনের-Sabuj Tripura

 

সবুজ ত্রিপুরা

১২ ডিসেম্বর

সোমবার

পানিসাগর প্রতিনিধিঃ পুলিশি নিস্ক্রিয়তার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নিশি কুটুম্বদের বার বারন্তে উষ্টাগত প্রান সাধারন জনগনের।এই নিশিকুটুম্বরা আজকাল আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকেও হার মানিয়ে বুক ফুলিয়ে একের পর এক হাত সাফাই করে চলেছেন।

বিগত প্রায় এক বৎসর যাবৎ কাল ব্যাপী সমগ্র রাজ্যের সাথে পাল্লা দিয়ে উওর জেলার পানিসাগর মহকুমায় ঘটে চলেছে একের পর এক বাইক ছিনতাই সহ চুরির ঘটনা।অথচ সবকিছু জেনে বুঝেও আরক্ষা প্রশাসন প্রতিটি ক্ষেএেই কুম্ভকর্ণের ভূমিকা পালন করে চলেছেন।সব চাইতে আশ্চর্যের বিষয় হলো আধুনিক বিজ্ঞানের অগ্রগতিকে কাজে লাগিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যায়ে  প্রতিটি মহকুমা সদর কিংবা সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্টানে ঘটা করে সি,সি,ক্যামেরার মত স্বয়ংক্রিয় অত্যাধুনিক পদ্ধতি ব্যাবহার করা হলেও, এগুলোকে সঠিক পরিচর্যার কারনে সেগুলো আবার কোন কোন সময় নগর সভ্যাতার শোভা বৃদ্ধিতে সাক্ষ্যবহন করে।বিগত কিছুদিন পুর্বে পানিসাগর নগর পন্চায়েতের উদ্দ্যোগে পানিসাগর এলাকার সীমান্ত রক্ষি বাহিনীর হেড কোয়ার্টারের রাস্তা হইতে আসাম আগরতলা জাতীয় সড়ক হয়ে পানিসাগর দ্বাদশমান বিদ্যালয়ে সম্মুখ পর্যন্ত মোট ষোলটি উন্নত মান সম্পন্ন সি,সি,ক্যামেরার বসানো হয় মাননীয় বিধায়ক বিনয় ভুষন দাস মহাশয়ের হাত ধরে।কিন্ত আশ্চর্যের বিষয় হলো এই সমস্থ আধুনিকতা থাকা সত্বেও পানিসাগর নগর পন্চায়েত এলাকায় একের পর এক বাইক চুরির ঘটনা ঘটে চললেও একটি চুরি কান্ডেরও কোন কিনারা করতে পারেনি পানিসাগর থানার পুলিশ।বিগত কিছুদিন পুর্বে পানিসাগর স্টেশন সংলগ্ন এলাকা,ডিস্ট্রিক্ট পোল্ট্রি ফার্ম সংলগ্ন এলাকা,সরকারি রেগুলেটেড মার্কেট সহ আশপাশ এলাকা থেকে পর পর প্রায় ছয় সাতটি বাইক চুরি হলেও একটি চুরি কান্ডের কোন সুরাহা করতে পারেনি পানিসাগর থানার পুলিশ।এমনই একটি রোম হর্ষক বাইক চুরি কান্ডের ঘটনার সাক্ষী হয়ে রইল পানিসাগর নগর এলাকার জনগন।ঘটনার বিবরণে জানা যায় যে,বিগত নয় তারিখ ভোর পাঁচটা নাগাদ পানিসাগর নগর পঞ্চায়েত এলাকার বাজার সংলগ্ন নয় নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত প্রমোদ রন্জন দাস এর একমাএ পুএ উদিত দাস এর বাড়ি থেকে টি,আর,০১ ভি,৭৪৭২ নম্বরের রয়েল এনফিল্ড ক্লাসিক ক্রোম ৫০০ সি,সি বাইকটি চুরি করে 

                         হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

নিয়ে যায় চোরের দল।সাত সকালে ঘুম থেকে উঠে বাইকটিকে দেখতে না পেয়ে তড়িঘড়ি খবর পাটানো হয় পানিসাগর থানাতে।পরবর্তীতে বাড়িতে লাগানো সি,সি,টিভি ফুটেজ প্রত্যক্ষ করে দেখা যায় যে,চোরেরা পুর্ব পরিকল্পনা মাফিক মুল ঘড়ের সি,সি,ক্যামেরা টিকে বাহির থেকে লেজার লাইটের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক ভাবে বিকল করে ফেলে।বাড়িতে লাগানো সি,সি,ফুটেজ থেকে অনুধাবন করা যায় যে,রাএি আনুমানিক বারোটা একুশ মিনিট নাগাদ অভিযুক্ত চোর বাড়িতে প্রবেশ করে এবং দীর্ঘ প্রায় চার ঘন্টা ব্যাপী শেষ রাএি চারটা বএিশ মিনিট নাগাদ বাইকটিকে নিয়ে পালিয়ে যায়।পরবর্তীতে খোজ খবর নিয়ে যানা যায় যে,চুরেরা বাইকটি নিয়ে বিলথৈ হয়ে চানপুর,পালগাও,আনন্দ বাজার হয়ে নির্মিয়মান আসাম আগরতলা জাতীয় সড়ক ধরে কদম তলা হয়ে বাইকটি পাচার করা হয়।কদমতলা বাজারে ব্যাবহুত  সি,সি,ফুটেজ দেখে বাইক সহ চুরের ছবি সনাক্ত করা হলেও কদমতলা পুলিশ নির্বিকার।শুধু তাই নয়, বাইক মালিক অভিযোগ করে জানান,বাইক চুরি কান্ডের ঘটনা পানিসাগর থানাকে অবগত করা হলেও,পানিসাগর থানা পাশ্ববর্তী এলাকার থানা গুলোকে অবগত করেনি।যার ফলশ্রুতিতে পানিসাগর থানাতে ভোর সাড়ে পাঁচ টা নাগাদ অভিযোগ লিপিবদ্ধ করা সত্বেও পানিসাগর থানার নিস্কিয়তায় অভিযুক্ত বাইক চুর সকাল ছয়টা দুই মিনিট নাগাদ কি করে কদমতলা বাজার অতিক্রম করে বাইক নিয়ে পালিয়ে যায়।এতে সন্ধেহের তীর পানিসাগর থানার দিকেই ধাবিত হচ্ছে। এই নিয়ে পানিসাগর থানায় মিসিং এন্ট্রি দায়ের করা সত্বেও পানিসাগর থানার ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ উগরে   দেয় বাইক মালিক।বাইক মালিক আরও অভিযোগ করে বলেন বাইক হারিয়ে তিনি হতাশা গ্রস্ত অবস্থায় তড়িঘড়ি পানিসাগর নগর পঞ্চায়েতে সি,সি,ফুটেজ খতিয়ে দেখতে গেলে তাকে নাকি জানানো হয় সৎসঙ্গ রোডের সি,সি,ক্যামেরাটি নাকি বিকল হয়ে রয়েছে।অনুরুপভাবে তিনি নাকি পানওসাগর থানার ফুটেজ খতিয়ে দেখতে গেলে সেখানেও নাকি জানানো হয় ক্যামেরা বিকল।বিগত কিছু দিন পূর্বে পানিসাগর ট্রাফিক পয়েন্ট সংলগ্ন এলাকার একটি মোবাইল দোকান থেকে দিনের বেলায় মালিকের অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে চুরেরা দুটি মোবাইল হাতিয়ে নেওয়ার পর দোকানের সম্মুখে লাগানো ক্যামেরা ফুটেজ দেখতে গেলে তাকেও নাকি বলা হয় পানিসাগর ব্লক রোডের ক্যামেরাটিও নাকি বিকল।লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যায়ে শহর জুড়ে লোকদেখানো নাটক মন্তস্থ করে ক্যামেরা লাগিয়ে আর কতকাল সাধারন জনগনকে বিভ্রান্ত করাহবে এখন সেটাই দেখার।বাইক মালিকের অভিযোগ পানিসাগর থানাতে ভোর পাঁচ পনেরো মিনিটে অভিযোগ করা সত্বেও কি করে চুরেরা বাইকটিকে নিয়ে ছয়টা দুই মিনিটে কদমতলা বাজার দিয়ে প্রকাশ্যে নিয়ে গেল।এখানে পানিসাগর থানার পুশিলের ব্যার্থতার 

চিএই ফুটে উঠছে।ধারনা করা হচ্ছে বাইকটিকে নিয়ে চোরের দল কদমতলা এবং তার পাশ্ববর্তী এলাকায় লুকিয়ে রেখেছে।বিগত দিনে সমগ্র রাজ্য জুরে একটি চুরের ন্যাট ওয়ার্ক পরিচালনা হতো কদমতলা সহ আশপাশ এলাকা থেকে।এদের সাথে বহিরাজ্যের গাড়ি পাচার সহ নারী পাচার মাফিয়ারাও সক্রিয় রয়েছে।অতচ কোন এক অজ্ঞাত কারনে প্রতিটি ক্ষেএে সব কিছু জেনে বুঝেও পুলিশি নিস্ক্রিয়তার প্রতিচ্ছবিই ফুটে উঠছে বার বার।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu