সবুজ ত্রিপুরা
৩১ ডিসেম্বর
শনিবার
বক্সনগর প্রতিনিধিঃ শুক্রবার বক্সনগর ব্লক এলাকার রহিমপুর দ্বাদশ শ্রেনী বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয় ছাত্রছাত্রীরা। জানা যায়, বিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের জনৈক শিক্ষিকা দিনের পর দিন তিনি স্কুল ফাঁকি দিয়ে চলছেন। ফলে নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে
চিন্তাগ্রস্থ বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে অভিভাবকেরা।অথচ এই বিষয়ে কথা বলতে গেলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককেও পাত্তা দিতে নারাজ দিদি মনি। জানা যায়, রহিমপুর দ্বাদশ শ্রেণি বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণিতে ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা রয়েছে তেত্রিশ জন। অথচ বিদ্যালয়ে বাংলা বিষয়ের শিক্ষিকা রয়েছেন একজন। তবে বিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রারে বাংলা বিষয়ের সেই শিক্ষিকার নাম থাকলে বাস্তবে যেন অনেকটাই ভিন্ন চিত্র। জানা যায়, সেই বিদ্যালয়ে বাংলা বিষয়ের শিক্ষিকা বিশ্বরানী দেববর্মা প্রায় পাঁচ বছরেরও বেশী সময় যাবত একই বিদ্যালয়ে চাকুরীরত অবস্থায় থাকলেও বছরের বেশীর ভাগ সময় তিনি বাড়িতেই সময় কাটাচ্ছেন। তার বাড়ি একই মহকুমার অর্থাৎ সোনামুড়া মহকুমার উরমাই এলাকায়। কিন্তু বর্তমানে আগরতলা শহরের বুকে থেকেই তার পারিবারিক জীবন চলছে। নিজ কর্মস্থল অর্থাৎ রহিমপুর দ্বাদশে তিনি শিক্ষকতার চাকুরীতে বহাল থাকলেও মাসের বেশীর ভাগ সময় তিনি বিদ্যালয়ে যাচ্ছেন না। বিদ্যালয়ের পূর্বতন প্রধান শিক্ষক বাবু সেই শিক্ষিকাকে বহু বার এই বিষয়ে শোকজ নোটিশ দিয়ে ছিলেন, এমনকি বহুবার (LWP) বেতন বন্ধ করে দিলেও শিক্ষিকার নিজের অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয় নি। শুধু তাই নয়, কর্মস্থলে উনার দীর্ঘ কালীন অনুপস্থিতির ঘটনার বিষয়বস্তু জানিয়ে প্রধান শিক্ষকের তরফে জেলা শিক্ষা আধিকারিককে গোটা বিষয়ে একাধিক বার লিখিতভাবে অবগত করা হলেও কোনো ফলাফল পাওয়া যায় নি। উপরন্তু তৎকালীন প্রধান শিক্ষক বাবুকে শিক্ষিকার নেতা স্বামী কর্তৃক বিদ্যালয়ে এসে হুমকি ধমকির শিকার হতে হয়েছে। ফলে সব মিলিয়ে আখেরে মাশুলহীন ক্ষতির সন্মুখীন হতে হচ্ছে বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের। যেখানে একজন মাত্র বিষয় শিক্ষিকা থাকলেও তিনিও না থাকার সামিল। যার ফলে এই বাংলা বিষয়ের ক্লাশ বর্তমানে পুরোদমে বন্ধ বিদ্যালয়ে।
হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন
সামনে আর মাত্র কয়েক মাস পরেই দ্বাদশ পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীদের ফাইন্যাল পরিক্ষা। ফলে সেই ফাইন্যাল পরিক্ষার দৌড় গোড়ায় এসে সেই ভাষার বিষয় নিয়ে অনেকটাই হতাশ বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। ফলে বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের দীর্ঘদিনের এই সমস্যার কোনো সমাধান না হওয়ায় শুক্রবার বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে ক্ষোভ দেখায় ছাত্রছাত্রীরা।
পরবর্তীতে তাদের দীর্ঘ সময়ের আন্দোলনের চাপে পরে এলাকার শাসক দলের শাসক নেতৃত্বরা সিপাহীজলা জেলা শিক্ষা আধিকারিকের সাথে কথা বললে তিনি খুব শিঘ্রই বিদ্যালয়ে বিষয় শিক্ষক নিয়োগের আশ্বাস দিলে ছাত্রছাত্রীরা তাদের আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেয়।
0 মন্তব্যসমূহ