সবুজ ত্রিপুরা
২৬ ডিসেম্বর
সোমবার
কদমতলা প্রতিনিধিঃ ছাত্র-শিক্ষক বচসার জেরে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে গেল আসামের পাথারকান্দির আছিমগঞ্জের গড়েরমুখ এলাকায়।ঘটনার রাশ ধরে স্থানীয় এক মিষ্টির দোকানে হামলা চালায়
সেখানকার একটি স্কুলের বেশ বেশ কজন শিক্ষক সহ তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা।এমন কান্ডে গোটা এলাকা জুড়ে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। জানা যাচ্ছে শুক্রবার পাথারকান্দি সেন্ট্রাল পাব্লিক স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়া নির্জর দেবনাথ স্কুলে যাওয়ার পর তাকে সামান্য একটি বিষয় নিয়ে স্কুলের এক শিক্ষক প্রহার করেন তৎক্ষণাৎ কান দিয়ে রক্ত ঝরতে থাকে তার ।পরে বিষয়টি জানা জানি হতেই শিক্ষককে দায়ি করে পাথারকান্দি থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেন ছাত্রের পিতা তথা প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী কাম সংবাদ কর্মী নীহার দেবনাথ।পরদিন শনিবার ছাত্রটি বাড়ি ফিরলে বিকেলে আহত ছাত্রটিকে দেখতে অভিযুক্ত শিক্ষক সহ অন্যরা এবং তারা বিষয়টি তাৎক্ষনাত
হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন
ভাবে মিমাংসা করতে চান।তখন নীহার রঞ্জন জানিয়েছেন নিজ ছেলে সুস্থ্য না হওয়া পর্যন্ত ঘটনাটির সমাধান করতে অনিহা প্রকাশ করায় কথা কাটাকাটি শুরু হয়।পরে অভিযুক্ত শিক্ষক সহ অন্য কয়জন শিক্ষক ও তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা মিলে নীহার দেবনাথের মহামায়া সুইটস নামের দোকানে আকস্মাৎ লুটপাট সহ হামলা চালিয়ে দেয়। বাঁধা দিতে গেলে আক্ৰমণকারিদের হাতে আক্রান্ত হন দোকান মালিক সহ উনার স্ত্রী ও সন্তানেরা এবং দোকানের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে । নীহার বাবু একজন সাম্যবাদী কবি সহ সংবাদ কর্মী ও ব্যবসায়ী ও সামাজিক কর্মী হিসেবে পরিচিত।তার মত একজন মানবতাবাদী ব্যক্তি সহ সহ উনার পরিবারের উপর এহেন পরিকল্পিত হামলা কেহই সহজে মেনে নিতে পারছেন না।অনেকে এ ন্যাক্কারজনক কান্ডের সঠিক তদন্ত করে এতে জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল ।
এ মর্মে পাথারকান্দি থানার ইন্সপেক্টর ওসি সমরজিৎ বসুমাতারিকে প্রশ্ন করলে তিনি জানান যে পুলিশ তদন্তে নেমে পুরো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের পাশাপাশি সম্পূর্ণ ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে।এতে জড়িতরা কিছুতেই রেহাই পাবে না।তবে এখুন কেও গ্রেপ্তার হয়নি ।উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে অকুস্থলে পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনীর কর্মীদের নিয়োগ করা হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ