সবুজ ত্রিপুরা
২৩ নভেম্বর
বুধবার
তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধিঃ ধানের জমিতে ইঁদুরের থাবায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা। ক্ষতিপূরণের দাবি রাখছেন কৃষি দপ্তরের কাছে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা। ঘটনা তেলিয়ামুড়া মহকুমা কৃষি দপ্তরের অধীন ত্রিশাবাড়ি এলাকায়।
তেলিয়ামুড়া মহকুমা কৃষি দপ্তরের অধীনে রয়েছে কৃষি প্রধান এলাকা ত্রিশাবাড়ি। ওই এলাকায় বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে রয়েছে ফসলি জমি। প্রত্যেকটি বসবাসকারী পরিবার গুলির মধ্যে বেশিরভাগ পরিবারেই কৃষির উপর নির্ভর করে সংসারের যাবতীয় ভরণ পোষণ জুটে আসছে সেই আদিকাল থেকে। এই মরসুমের ওই এলাকার কৃষকরা প্রতি কানিতে ১১,০০০ টাকা ব্যায় করে লাভের আশায় রোপন করেছিলেন জমিতে ধানের বীজ। ধান মাঠে ফলন হতেই এক ধরনের ইঁদুর জমিতে থাবা বসিয়ে তাণ্ডব চালায়। ধানের জমিতে মাটি খুঁড়ে ধান গাছ কেটে নষ্ট করে দিয়েছে বহু কৃষকের জমির ধান। আর এর ফলে যেখানে প্রতি কানিতে কৃষকরা ধান পেত ২০ থেকে ২২ মন। সেখানেও ইদুরের থাবা বসানোর কারণে চৌদ্দ(১৪) মনের বেশি ধান পাওয়া যায়নি। এদিকে এক মহিলা কৃষক জানান, অগ্রহায়ণ মাসে ধান কাটে ঘরে তোলা শুরু করে দিয়েছে। ইঁদুরের থাবা তাদের কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন
প্রতি কানিতে নিজের পারিশ্রমিক বাদ দিয়ে অন্যান্য শ্রমিকের খরচা এবং জমির পরিচর্চা বাবদ খরচা প্রায় ১১,০০০ টাকা। যদি গত বছর এর তুলনায় এক হাজার(১,০০০) টাকা খরচা বেশি হলেও উৎপাদিত ধানের পরিমাণ সাত আট মন কম হয়েছে। কারণ ধানের জমিতে ইঁদুর যদি থাবা না বসাতো তবে আশানুরূপ ধান ঘরে তুলতে পারতো। তবে এই মহিলা কৃষক আরো জানান,, সরকারিভাবে কোন সাহায্য এখন পর্যন্ত পৌঁছায়নি উনার কাছে। এদিকে ওই মহিলা
কৃষকের মত আরো অনেক কৃষক ধানের জমিতে ইঁদুরের থাবায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রত্যেকটি প্রতিগ্রস্ত কৃষক পরিবারই চাইছে সরকারিভাবে যেন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। এখন দেখার বিষয় সংশ্লিষ্ট কৃষি দপ্তরের প্রতি আস্থা ফেরাতে কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
0 মন্তব্যসমূহ